ঢাকা, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে অধ্যক্ষ ছুটিতে

  ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৩৮  
আপডেট :
 ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১:০৯

ছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে অধ্যক্ষ ছুটিতে
বোয়ালমারীতে কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে দিনব্যাপী বিক্ষোভ করে ছাত্রীরা। ছবি: প্রতিবেদক

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে দিনব্যাপী বিক্ষোভ করেছে কলেজের ছাত্রীরা। অবশেষে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদকে ৭ দিনের ছুটিতে পাঠিয়েছেন এডহক কমিটির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম।

রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৩টা পর্যন্ত পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজে ছাত্রীদের সাথে ছাত্রদেরও বিক্ষোভ সমাবেশে দেখা যায়।

পরে কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি কলেজে পৌঁছলে ছাত্রীদের বিক্ষোভ আরও জোরালোভাবে শুরু হয়। তখন সভাপতি শিক্ষক মিলনায়তনে অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের নিয়ে সভায় বসেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা সভাপতির নিকট লিখিত অভিযোগ দেন। পরে অধ্যক্ষকে বাসায় পাঠিয়ে কমিটি ও শিক্ষকগণ মিটিং করে অধ্যক্ষকে ৭দিনের ছুটি এবং তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন চৌধুরীসহ অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত কমিটি আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে (পুজার ছুটি পরে) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে। এ প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, সহযোগী অধ্যাপক রবীন কুমার লস্কর, সহযোগী অধ্যাপক মিনু রানী সাহা ও সহযোগী অধ্যাপক শিরিন হোসেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদ কলেজের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কলেজটির শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে অবনতি হয়েছে। তিনি শিক্ষকদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। ছাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ করে থাকেন।

তবে কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদ ছাত্রীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমিতো কোন অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি করি নাই। সুযোগও নাই। কারণ কলেজের সকল কাজ করার জন্য বিভিন্ন কমিটি করা আছে। ম্যানেজিং কমিটি সকল কাজ করে থাকে এবং সকল লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে হয়ে থাকে। কিন্তু ছাত্রীরা বার বার আমার পদত্যাগের দাবিতে মিছিল করে আসছে। বর্তমান সভাপতি কলেজে এসেছিলেন। তিনি ৭ দিনের ছুটি দিয়েছেন আমাকে।

কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, কোন অভিযোগ উঠলেইতো কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। শাস্তিও দেয়া যায় না। এ জন্য অধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদকে ৭ দিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সকল অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, প্রথমে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় পরে অন্যদের অনুরোধে সহযোগী অধ্যাপক মো. আলমগীর হোসেন ও সহযোগী অধ্যাপক ফরাদুল ইসলাম শিকদারকে কমিটির সাথে যুক্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২৯ আগস্ট প্রথম ছাত্রীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। সে সময়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হাসান চৌধুরী অধ্যক্ষকে ছুটিতে পাঠিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত