ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ৩৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল হবেই: ড. আসিফ নজরুল

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৪৩

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল হবেই: ড. আসিফ নজরুল
ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন অবশ্যই বাতিল করা উচিত। এই আইন বাতিল হবেই। এই মুহূর্তে আইনটি পুরোপুরি বাতিল হবে নাকি ‘স্পিচ অফেন্স’ সংক্রান্ত মামলাগুলো বাতিল করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. নাসিমুজ্জামান ভুইয়া,সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী,আইনজীবী শিশির মনির, ব্যারিস্টার আনিতা গাজী,লেখক জাহেদ উর রহমান, ব্যারিস্টার প্রিয়া আহসান প্রমুখ।

আইন উপদেষ্টা বলেন, নতুন আইনের উদ্দেশ্য হবে সাইবার সুরক্ষা দেয়া। তাছাড়া, নারী ও শিশুদের স্পর্শকাতরতা বিবেচনা করে তাদের বিশেষ নিরাপত্তার ও নাগরিদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এ সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলোও আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

আসিফ নজরুল বলেন, সাইবার সিকিউরিটি আইন বা এর আগের পুর্বসূরী মামলাগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সরকার চাইলেই সব মামলা প্রত্যাহার করতে পারেন না। ভুয়া মামলায় কেউ দোষী সাব্যস্ত হলেও তাকে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মুক্তি পেতে হবে। এ সময় সকল ধরণের কালা কানুন থেকে দেশকে মুক্ত করা হবে।

একই অনুষ্ঠানে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, আমি মনে করি সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা উচিত। কারণ এই আইনের সব সংশোধন করলেও মানুষের মনে সংশয় রয়ে যাবে।

দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন সংশোধনের অযোগ্য। এ আইন পুরোপুরি বাতিলের দাবি করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা পরিবর্তন করে ২০২৩ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়। তাতে পুলিশকে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেয়া হয়। তাছাড়া ডিজিটাল মাধ্যম থেকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত অপসারণের পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতাও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে দেয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে কমানো হয় সাজার পরিমাণ। আগের আইনে ১৪টি জামিনঅযোগ্য ধারা ছিল। নতুন আইনে সেটি কমিয়ে চারটি করা হয়। আগের আইনটির ৫৭ ধারা সবচেয়ে ‘বিতর্কিত’ ছিল।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত