ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

নরসিংদীতে যানবাহনে ২৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহে মহাসড়ক অবরোধ

দীর্ঘ যানযট, যাত্রী ভোগান্তি 

  শুভ্রজিৎ সাহা পিয়াল, নরসিংদী

প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৫৬

নরসিংদীতে যানবাহনে ২৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহে মহাসড়ক অবরোধ
নরসিংদীতে সিএনজি পাম্পগুলো থেকে অবৈধভাবে শিল্পকারখানায় গ্যাস বিক্রি বন্ধসহ সাধারণ যানবাহনে ২৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে যানবাহনের শ্রমিকরা। ছবি: প্রতিবেদক

নরসিংদীতে সিএনজি পাম্পগুলো থেকে অবৈধভাবে শিল্পকারখানায় গ্যাস বিক্রি বন্ধসহ সাধারণ যানবাহনে ২৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছে যানবাহনের শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নরসিংদীর রেন্ট-এ-কার ব্যবসায়ী মাইক্রোবাস চালক ও সিএনজিচালিত যানবাহনের চালকরা ঢাকা-সিলেট মহসড়কের শাহেপ্রতাব মোড়ে অবরোধ করে। ফলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় সড়কে দীর্ঘ যানযট সৃষ্টি হয়। দূরপাল্লার যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যেগ নেয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যানচলাচল স্বাভাবিক করেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, নরসিংদী তিতাস গ্যাস অফিসের কর্মকর্তা বিশেষ সুবিধা নিয়ে সিএনজি পাম্পগুলোকে এই অবৈধ সুযোগ করে দিচ্ছে। এতে রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সেবাসংঘ মাইক্রোস্ট্যান্ডের সাধারণ সম্পাদক লিটন মিয়া বলেন, নরসিংদীর প্রত্যেকটা সিএনজি পাম্পে অবৈধভাবে শিল্পকারখানার কন্টিনারে গ্যাস দিচ্ছে। একটি কন্টিনারে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার গ্যাস দিচ্ছে। আমরা গ্যাস নিতে গেলে আমাদের গ্যাস দিচ্ছে না। আর গ্যাস দিলেও গ্যাসের চাপ থাকে না। ফলে আমরা যাত্রী বা মুমূর্ষ রোগী নিয়ে হাসপাতাল বা গন্তব্যে পৌঁছতে পারি না। ফলে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন আমাদের মূলত ২টি দাবি। এর মধ্যে প্রধান দাবি শিল্পকারখানার কন্টিনারে গ্যাস দেয়া বন্ধ করতে হবে। একই সাথে সাধারণ যানবাহনে ২৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ করতে হবে।

আরশিনগর মাইক্রোস্টেন্ডের সভাপতি মো. আইয়ুব বলেন, নরসিংদী পাম্পগুলো থেকে গ্যাস নিতে আমরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হই। একজন ইমারজেন্সি রোগী নিয়ে ঢাকা যেতে চাইলে ১৫০ টাকার গ্যাস পাই। অথচ আমার গাড়িতে গ্যাস নেয়া যায় ১২শত টাকার। ফলে আমি রোগী নিয়ে ঢাকা মেডিক্যালে পৌঁছাতে পারি না। কখনো কখনো রোগী রাস্তাতেই মারা যায়। তিনি আরও বলেন, শিল্পকারখানার গ্যাস লাইন আছে। সেখানে তাদের বকেয়া আছে। তারা বিল পরিশোধ করে না। গাড়ির জন্য স্থাপিত সিএনজি পাম্পগুলো থেকে তারা অল্পদামে গ্যাস নিয়ে কারখানা চালায়। ফলে সড়কের হাজার হাজার যানবাহন গ্যাস পাচ্ছে না। এতে ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শহিদুল হক সোহাগ বলেন, গ্যাসের দাবিতে ভাড়ায়চালিত যানবাহনের চালকরা সড়ক অবরোধ করেছে। আমরা তাদের সাথে কথা বলে সড়ক ক্লিয়ার করার ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রায় সৌয়া ২ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

নরসিংদী তিতাস গ্যাসের ডিজি এম মামুনুর রহমান বলেন, সিএনজি পাম্পগুলো থেকে কারখানায় গ্যাস দেয়ার বিধান আছে কিনা বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়। আমরা আইনগুলো খতিয়ে দেখছি। কতিপয় তিতাস কর্মকর্তার যোগসাজেসে নরসিংদীর সিএনজি পাম্পগুলো থেকে অবৈধভাবে কারখানায় গ্যাস দেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবগুলো বিষয় আমরা খতিয়ে দেখছি। তারপর সব কিছু বলা যাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত