ঢাকা, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ৩২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইউনাইট গ্রুপের জালিয়াতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:০৫

ইউনাইট গ্রুপের জালিয়াতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
ইউনাইট গ্রুপের জালিয়াতি ও প্রাণনাশের হুমকির বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: প্রতিবেদক

স্বৈরাচার সরকারের সর্বোচ্চ শক্তির অপব্যবহার করে ইউনাইট গ্রুপের জালিয়াতি ও প্রাণনাশের হুমকির বিচার চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এমএমএ কাদের।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভাটারা থানার মাদানী এভিনিউ (১০০) নেপচুন সিটি প্রকল্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এই দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০৪ সালে ইউনাইটেড গ্রুপের নেপচুন সিটির সাঁতারকুল মৌজার ১০৩, ১০৬ ও ১১১ নম্বর রোডের ৪১, ৩৯, ১২ নম্বর প্লটে দুই বিঘা এবং কাঠালদিয়া মৌজার ১০৩ ও ১০৮ নম্বর রোডের ৫১ নম্বর প্লটে এক বিঘা জমি ক্রয় করেন। কর্তৃপক্ষ প্রথমে তাদের প্লট বুঝিয়ে দেয়। এরপর দলিল করে দেয়ার পর থেকে তিনি ওই জমিতে বিলাসবহুল ভবন (নির্মাণাধীন) ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে ভোগ দখল করে আসছেন। নিয়মিতভাবে জমির খাজনা ও অন্যান্য খরচ বহন করে আসছেন। চারতলা ভবনের কাজ কিন্তু জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ১৬ বছর পর ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর হঠাৎ করে ইউনাইটেড গ্রুপ তার ৫১ নম্বর প্লটে থাকা সকল স্থাপনা সরিয়ে ফেলতে বলে। কিন্তু তাতে রাজি হননি এমএমএ কাদের। ওই মাসের ১১ তারিখ কাউকে কিছু না বলে বুলডুজার দিয়ে সমস্ত স্থাপনা গুড়িয়ে দেয় ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ। অপর প্লটে ১২ বছর আগে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করলেও আংশিক জমির নামজারি না করে দেয়ায় ভবনের কাজ শেষ করতে পারছেন না।

এই ব্যপারে আদালতে মামলা করা হলে সাবেক স্বৈরাচার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতা, পিবিআই’র সাবেক প্রধানসহ পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে হুমকি দিতে থাকে। এমনকি শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের নাম ব্যবহার করে পরিবারের সদস্যসহ কাদেরকে হত্যা করে ওই জমির মাটিতে পুতে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। এতে ভয়ে এমএম এ কাদেরের দুই ছেলে বিদেশ পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। বিচারের আশায় আব্দুল কাদের সরকারের বিভিন্ন সংস্থার দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কোন লাভ হয়নি।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় ইউনাইটেড গ্রুপ বিদ্যুৎখাতসহ বিভিন্ন খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারও ছিলো না। কিন্তু অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টামন্ডলীর কর্মকাণ্ড দেখে অনেকের মত আমিও ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছি। তারা পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে ন্যায় বিচারের ব্যবস্থা করবেন এটা আমাদের কাম্য।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত