ঢাকা, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা নিয়ে অভিযোগ করতে পারে বাংলাদেশ: ড. ইউনূসকে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি 

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:১২  
আপডেট :
 ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:১৮

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা নিয়ে অভিযোগ করতে পারে বাংলাদেশ: ড. ইউনূসকে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি 
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-আইসিসির চিফ চিফ প্রসিকিউটর করিম এ এ খান সাক্ষাৎ করেন। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-অগাস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গণহত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) অভিযোগ করতে পারে বাংলাদেশ এমনটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়েছেন আইসিসির চিফ প্রসিকিউটর করিম এ এ খান।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসস এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা ইউনূসের সঙ্গে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎ করেন আইসিসির চিফ প্রসিকিউটর। তার কাছ থেকেই সেই আদালতে অভিযোগের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা সেই প্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন করিম এ এ খান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই হেগ-ভিত্তিক আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারে। তবে আইসিসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়েরের জন্য যথাযথ নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হয়।

আইসিসির প্রধান আইনজীবীকে ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্টের ‘বিপ্লবে’ কমপক্ষে ৭০০ জন শহিদ হয়েছেন এবং ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

সাক্ষাৎকালে করিম এ এ খান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে ২০১৯ সালে আইসিসি কর্তৃক রোহিঙ্গা নির্যাতন তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন এবং তিনি এ বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ সফর করবেন।

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ইউনূস সম্প্রতি যে তিন দফা প্রস্তাবের প্রশংসা করেছেন, আইসিসির প্রধান আইনজীবী তার প্রশংসা করেছেন বলেও বাসস জানিয়েছে। বুধবার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এই প্রস্তাব দেন। এ সময় সেখানে করিম এ এ খানও বক্তব্য রাখেন।

প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার নিমিত্তে জাতিসংঘ প্রধানের একটি জরুরি সম্মেলন আয়োজন ও করণীয় প্রস্তাব, রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটে নিরসনে যৌথ সহায়তা পরিকল্পনা জোরদার এবং ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে আন্তরিক আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা। এ তিন দফা যথার্থ।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমাধ্যমের ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ ও ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ বিবেচনায় দেশেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, যে ট্রাইব্যুনালটি গঠন করা হয়েছিল ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য। এই ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতাদের আইনজীবী তাজুল ইসলামকে চিফ প্রসিকিউটর করে তদন্ত সংস্থাতেও নতুন নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

বর্তমানে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন এবং আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অপরাধ ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ের বিচারের সুযোগ রাখা হচ্ছে এবং অপরাধী সংগঠনকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার সুযোগ রেখে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের নির্বাসিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতা ছাড়াও সাংবাদিক ও লেখক এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত