ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ২৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

পদ্মার পানিতে দৌলতপুরে ফসলের ক্ষতি ২৪ কোটি টাকা

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:০১

পদ্মার পানিতে দৌলতপুরে ফসলের ক্ষতি ২৪ কোটি টাকা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে অন্তত ৩৪ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবছে কৃষকের উঠতি ফসল ও আবাদি ক্ষেত। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে অন্তত ৩৪ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবছে কৃষকের উঠতি ফসল ও আবাদি ক্ষেত। এতে ২৪ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতির শঙ্কায় পড়েছেন বন্যাকবলিত চরাঞ্চলের কৃষক। বন্ধ হয়েছে চিলমারীর চরের বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের পাঠদান কার্যক্রম। পদ্মার ভাঙন ও বন্যা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদী তীরবর্তী চরবাসী।

ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানিতে দৌলতপুরের চার ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। এরমধ্যে চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৩৪ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বন্যাকবলিত এসব নিম্নাঞ্চলের জমিতে চাষ করা মাসকলাইয়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মরিচ, কলাসহ অন্যান্য ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।

চিলমারী ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া গ্রামের কৃষক সোহেল আহমেদ জানান, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। নদী তীরসহ চরের নিচু এলাকার কৃষকদের মাসকলাই ডুবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান জানান, চরের মাসকলাইয়ের জমি সব ডুবে গেছে। এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও মরিচ ও সবজির জমিতেও পানি উঠেছে।

রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল জানান, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চাললের ১৬টি গ্রামের চারপাশে পানি চলে আসায় তারা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। চরের নিচু এলাকায় বসবাসরত শতাধিক বাড়িতে পানি ঢুকেছে। পদ্মার চরের প্রায় সব আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। এতে মাসকলাই চাষিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে অচিরেই চরের সব গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বে। তবে শুক্রবার নদীতে পানি স্থিতিশীল রয়েছে। নতুন করে পানি বাড়েনি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলা কৃষি অফিসে পাওয়া তথ্যে বন্যায় চিলমারী, রামকৃষ্ণপুর, ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের ১ হাজার ৬২০ হেক্টর জমির মাসকলাই পানিতে ডুবেছে। এতে কমপক্ষে ২৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও মরিচ ৭০ হেক্টর, কলা ৭৩ হেক্টর ও সবজি ১৩ হেক্টরের মতো পানিতে ডুবেছে, যার ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলে মৌসুমে ২ হাজার ৩২৩ হেক্টর জমিতে মাসকলাইয়ের চাষ হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত