ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

দিনাজপুরে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি, রাস্তায় জলাবদ্ধতা

  সুলতান মাহমুদ, দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৫৮

দিনাজপুরে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি, রাস্তায় জলাবদ্ধতা
ভাঙা রাস্তায় জমে থাকা পানি। ছবি: প্রতিবেদক

দুইদিনে দিনাজপুরে টানা ভারী বর্ষণে দেশের সর্বোচ্চ ১৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে।

শুক্রবার দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন নিশ্চিত করে বলেন গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টা পর্যন্ত ১৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।

তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে দিনাজপুরেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে আজকে শুক্রবারও সারাদিন অঝরে বৃষ্টি পড়ছে। এই বৃষ্টির ফলে দিনাজপুর শহরের বেশ কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

অটোচালক আব্দুর রহিম বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে দিনাজপুরে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টি উপেক্ষা করে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছিলাম। আজকে ১০০ টাকা ভাড়া মেরেছি। ফলে পরিবার নিয়ে অনেকটাই কষ্টে আছি।

দিনমজুর মোতালেব হোসেন বলেন, শহরের ষষ্ঠী তলায় শ্রম বিক্রি করতে এসেছিলাম আজকে দিন হাজিরা কাজ পায়নি। কাজ না পেয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি। বাড়িতে চাল নেই, আজকে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকটাই কষ্টের মধ্যে রয়েছে।

পথচারী মকবুল হোসেন বলেন, দিনাজপুর শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে চলাচল করা যাচ্ছে না। অনেক কষ্ট করে বাড়িতে এসেছি। বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। বেশিরভাগ রাস্তাগুলো খানাখন্দকে ভরে গিয়েছে। তাই মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অনেকেই।

দিনাজপুর বীরগঞ্জের কৃষক হামিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে ধানের জমি শুকিয়ে গেলেও এই বৃষ্টির পানিতে আমন ধানের ক্ষেত ভরে গিয়েছে। এই বৃষ্টি আমাদের আমন ধানের জন্য অনেক উপকার হয়েছে।

দিনাজপুর পৌরসভার সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, দিনাজপুর শহরের ৭০ শতাংশ রাস্তা বেহাল। খানাখন্দকে ভরে গিয়েছে, চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপযোগী। ফুটপাতের রাস্তা নেই। অনেক দোকানপাট নিজেদের জায়গা বাদে রাস্তায় এসে দোকান করছে। ফলে যাতায়াতের রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। এছাড়া, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিতে রাস্তায় আরও খানাখন্দকে ভরে গিয়েছে। কয়েকটি রাস্তা আবার পুনঃসংস্কারের জন্য টেন্ডার করা হয়েছে। আশা করছি বর্ষণ শেষ হলে রাস্তার কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত