ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিএনপি নেতার সমর্থকদের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগ

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:১৫

বিএনপি নেতার সমর্থকদের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগ
বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাউজানে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মাঝের চরে দুই ছাত্রদল নেতা জয়নাল আবেদীন ও সাজ্জাদ হোসেনকে ইউপি কার্যালয় থেকে তুলে নিয়ে মারধরের পর হাত, মুখ পা বেঁধে চরে ফেলে যায় প্রতিপক্ষ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে উপজেলা ছাত্রদলের দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে আহত দুই ছাত্রদল নেতা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মারধরের এক পর্যায়ে মৃত ভেবে নদীর চরে ফেলে দেয়া হয়। পরে দুপুরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

মারধরের শিকার দুজন হলেন- রাউজান উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন সোহেল ও নোয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। তারা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের সমর্থক বলে জানা গেছে।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহাবুবুর রহমান বলেন, দলীয় কোন্দলে দুই ছাত্রদল নেতাকে মারধর বা অপহরণ করা হয়েছে বিষয়টি সেরকম না। পুলিশ দুজনকেই উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। দুজনের শারিরীক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তারা আশঙ্কামুক্ত। যাদের মারধর করা হয়েছে তারা গোলাম আকবর খন্দকরের সমর্থক। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করতে থানায় আসেনি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মারধরের শিকার জয়নাল আবেদীন সোহেল বলেন, পারিবারিক কাজে আজ সকাল ১১টার দিকে আমি নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যাই। সেখানে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সমর্থিত ১০-১৫ জন আমার ওপর হামলা চালায়। আমার হাত-পা বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। বেধড়ক মারধরের পর আমাকে চৌধুরী ঘাটে নিয়ে নৌকায় তুলে দেয়। পরে আমার শুভাকাঙ্খীরা আমাকে উদ্ধার করে। আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর মুঠোফোনে কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

তবে রাউজান উপজেলা বিএনপির সভাপতি জসীম উদ্দিন বলেন, সকালে সোহেল ও সাজ্জাদ একটি কাজে নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে গেলে কিছু সন্ত্রাসী তাদের তুলে নিয়ে নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের নৌকায় করে রাঙ্গুনিয়া-বোয়ালখালী সীমান্তবর্তী মাঝেরচর এলাকায় নিয়ে চোখমুখ বেঁধে মারধর করে ফেলে রাখে। পরে তাদের আত্মীয়-স্বজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে জানতে চাইলে বিএনপির ‘অপর একটি পক্ষকে’ দায়ী করেন তিনি। তবে তিনি কারো নাম বলতে চাননি।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নোয়াপাড়া ইউনিয়নে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত