ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জশনে জুলুশ ঘিরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

  প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জশনে জুলুশ ঘিরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জশনে জুলুশকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জশনে জুলুশকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।

জানা গেছে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত ও হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত উপজেলার পৌর এলাকার কদমতলীর মোড়ে সংঘর্ষ চলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সকালের দিকে উপজেলা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত কসবা উপজেলা চত্বর থেকে জশনে জুলুশের মিছিল করার প্রস্তুতি নেয়। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলার পুরকুইল হাবিবিয়া দরবার শরিফের পীর ছদরুদ্দিন আহমেদ। অপরদিকে উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী ইয়াকুব ওসমানীর নির্দেশে হেফাজতের অনুসারীরা জশনে জুলুশের শোভাযাত্রা প্রতিরোধ করার ঘোষণা দেন। এতে উত্তেজনা ছড়ায়।

দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কদমতলী এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বেলা দুইটা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতরা চিকিৎসা নিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, কসবায় দীর্ঘদিন ধরেই পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত র‌লি বের করে আসছে। কিন্তু হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা জানাচ্ছে, ইসলাম ধর্মের সাহাবিরা এটি এভাবে পালন করতেন না এবং এটি ইসলামে বেদাত। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।এ ঘটনায় দুই পক্ষের ২০ জন আহত ন। পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত