পুলিশের সাঁজোয়াযান থেকে ফেলে দেয়ার দৃশ্য আর যেনো দেখতে না হয়: শহীদ ইয়ামিনের বাবা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৯
ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সভারে পুলিশের একটি সাঁজোয়াযানে উঠে পড়ে ইয়ামিন। ওই সময় পুলিশের গুলিতে সাঁজোয়াযানের ওপর লুটিয়ে পড়ে যান। মুর্মূষু ইয়ামিন তখনো বেঁচে ছিলেন। কিন্তু পাষাণ পুলিশ সদস্যদের হৃদয়ে তখনো একটুও মায়া হয়নি। নিষ্ঠুরতার চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে সাঁজোয়াযানের ওপর থেকে টেনেহেঁচড়ে রাস্তার ওপর ফেলে দেয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ইয়ামিন। ভিডিওতে দেখা যায় তখন ইয়ামিনের হাত-পা নড়াচড়া করছিলো। হাসপাতালে নিলে হয়তো বেঁচে যেতেন। সেই ভাগ্য হয়নি ইয়ামিনের। ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সেই দৃশ্যের কথা মনে করে শহীদ ইয়ামিনের বাবা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আর কোন পিতা-মা, বোনকে এই নির্মম পরিস্থিতির শিকার না হতে হয়। আমার ছেলের মতো পুলিশের সাঁজোয়াযান থেকে ফেলে দেয়ার দৃশ্য যেন আর দেখতে না হয়। এমন কোনো ইয়ামিন যেন পুলিশের ঘৃণার পাত্র না হয়। আগামী দিনে পুলিশ যেন তার সঠিক দায়িত্ব পালন করে। আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই এবং শহীদের মর্যাদা দেয়ার আহ্বান জানাই। পিতার কাঁধে সন্তানের লাশের থেকে ভারী কোনো বোঝা নেই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণসভায় এভাবেই নিজ সন্তানের হত্যার বর্ণনা দেন শহীদ ইয়ামিনের বাবা। দুপুর আড়াইটা থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে পূর্ব ঘোষিত সমাবেশে অংশ নিতে শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে ভিজে নেতা-কর্মীরা কর্মসূচির প্রাঙ্গণে অবস্থান করেন।
সমাবেশের শুরুতে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জনপ্রিয় গানগুলো বাজিয়ে শোনানো হয়। এ অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/এমপি