প্রতিবাদ থেমে গেলে স্বৈরাচাররা বিভিন্ন রূপে ফিরে আসবে: সারজিস
প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:০২ আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:০৭
বিগত বছরগুলোতে স্বৈরশাসন আমলে যে অন্যায়গুলো ছিল সেগুলো এখনো শেষ হয়ে যায়নি। প্রতিবাদ জারি না থাকলে স্বৈরাচাররা সমাজে বিভিন্ন রূপে ফিরে আসবে এবং স্বপ্নের বাংলাদেশ সাজাতে বাধা সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের বড়মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঠাকুরগাঁওয়ের মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি ছাত্র-জনতাকে অনুরোধ করে বলেন, আপনারা যদি আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশকে দেখতে চান তাহলে প্রতিবাদ জারি রাখুন। নয়তো আওয়ামী লীগ ১৬ বছরে বাংলাদেশে যে দুর্নীতির সিস্টেম তৈরি করেছে, আবার তার একটি নতুন চলচ্চিত্রায়ন দেখা যাবে। যে যে ধর্মেরই বা দলের হোক না কেন, সে যদি চাঁদাবাজি করে, দুর্নীতি করে তাকে অন্যায়কারী হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে এবং প্রতিবাদ করতে হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, ভাববার সময় এসেছে, দ্বিতীয় স্বাধীনতাও শুরু হয়েছে। এরা আপনার জন্য কথা বলে কাজ করে। যে আপনাকে জবাবদিহি করতে প্রস্তুত, আপনি সবসময় তার জন্য কথা বলুন; তার পক্ষে কাজ করুন। আপনি যদি কোনো অন্যায়কে সমর্থন করেন। কোনো না কোনো দিন আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে সারজিস বলেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে হবে। আমাদের সীমান্তগুলোতে ফেলানীর মতো কাউকে ঝুলে থাকতে দেখতে চাই না। এমন হত্যাকাণ্ড আর চাই না। যদি আজকের পর থেকে এমন কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে তার বিচার করতে হবে।
ভোটের বিষয়ে সবাইকে সচেতন করে সারজিস আলম বলেন, আপনারা আপনাদের দুর্বলতা নিজেরাই সৃষ্টি করেছেন। আপনাদের মূল্যবান ভোটটি কোনো কিছু চিন্তা না করে, না বুঝে একটি মাত্র মার্কাতে (নৌকা) ফিক্সড করে রেখেছেন। এ বাংলাদেশে এরপর থেকে যা হবে তা ছাত্র-জনতার রায়ের ভিত্তিতে হবে। কোনো পরিবার থেকে নয় এবং কোনো ফ্যাসিস্ট সিস্টেম থেকে নয়।
তিনি আরও বলেন, যদি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ নির্বাচনে ভূমিকা রাখে তাহলে কেন অবৈধভাবে সীমান্তের দিকে ঝুঁকতে হবে। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগে নির্দিষ্ট একটি মার্কা অর্থাৎ নৌকা মার্কায় নিজেকে ফিক্সড করে রাখায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে আপনাদের মূল্য কমে গিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, এ আন্দোলনে আমাদের বোনেরা আমাদের ঢাল হিসেবে সামনে ছিলেন। নারীদের সম্মান করতে হবে। এছাড়া যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণ রাখতে হবে এবং আহতদের পরিবারগুলোর পাশে দাড়াতে হবে।
এ সময় অনুষ্ঠানে ছাত্র আন্দোলনের ১৩ জন প্রতিনিধিসহ স্থানীয় ছাত্রজনতা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম