ঢাকা, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

শেখ হাসিনার ফ্লাইট যেভাবে রেডারের বাইরে রাখা হয়েছিল

  বিবিসি

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০২  
আপডেট :
 ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১২

শেখ হাসিনার ফ্লাইট যেভাবে রেডারের বাইরে রাখা হয়েছিল
শেখ হাসিনার ফ্লাইট যেভাবে রেডারের বাইরে রাখা হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার প্রবল গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পরপরই ভারতের উদ্দেশে একটি সামরিক কার্গো বিমানে করে উড়াল দেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহেনা।

গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় তাদের নিয়ে ভারতের গাজিয়াবাদের হিন্দন এয়ারবেসে অবতরণ করে ফ্লাইটটি।

শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজটি গত ৫ আগস্ট ঢাকা ছাড়ার সময় একটি প্রশিক্ষণ ফ্লাইট হিসেবে উড্ডয়ন করে এবং এর ফ্লাইটপথ ও অবস্থান অন্যদের না জানাতে ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দেয়।

একটি উড়োজাহাজের অবস্থান, নাম, উচ্চতা, গতি এবং স্বয়ংক্রিয় জিওলোকেটার সিস্টেম জানাতে থাকে ট্রান্সপন্ডার। হাসিনাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় আকাশসীমার কাছাকাছি পৌঁছানোর আগে এর ট্রান্সপন্ডার চালু করা হয়নি বলে বেশ কয়েকটি সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে।

এই বিষয়ে আজ দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘How Hasina’s flight was kept off radar’ অর্থাৎ, ‘হাসিনার ফ্লাইট যেভাবে রেডারের বাইরে রাখা হয়েছিল’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাহিনীর ট্রান্সপোর্টার বিমানটি ৫ই অগাস্ট ঢাকা ত্যাগ করার সময় এটি একটি প্রশিক্ষণ ফ্লাইট হিসেবে উড্ডয়ন করে। সেইসাথে বিমানটির ফ্লাইটপথ ও অবস্থান অস্পষ্ট করতে এর ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দেয়া হয়।

বিমানের ট্রান্সপন্ডারের মাধ্যমে এর অবস্থান, কোন পথে যাচ্ছে, উচ্চতা এবং গতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় সেইসাথে এতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় জিওলোকেটার সিস্টেম।

তবে শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় আকাশসীমার কাছাকাছি পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত এই ট্রান্সপন্ডার চালু করেনি।

ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে ফ্লাইট এজেএএক্স-১৪৩১ প্রোগ্রেস স্ট্রিপের একটি অনুলিপি পেয়েছে।

ফ্লাইট প্রগ্রেস স্ট্রিপ হল একটি ছোট কার্ড যা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল আকাশে একটি নির্দিষ্ট বিমানের গতিপথ বের করতে ব্যবহার করে যাতে বিমানগুলো মাঝ-আকাশে সংঘর্ষে না পড়ে।

ফ্লাইট প্রগ্রেস স্ট্রিপ থেকে দেখা গিয়েছে শেখ হাসিনার বিমানটি ৫ই অগাস্ট বেলা বিকাল ৩টা ০৯ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পশ্চিমে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এয়ারবেস থেকে উড্ডয়ন করে।

এই কাগজটি লকহিড সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানের ককপিট এবং ঢাকার এটিসি-এর মধ্যে রেডিও যোগাযোগের একটি রেকর্ডিংও পেয়েছে।

বিমানটি ঢাকা-কলকাতা রুটের ওয়েপয়েন্ট "বেমক" এ পৌঁছালে তার ট্রান্সপন্ডার এবং স্বয়ংক্রিয় জিওলোকেটার সিস্টেম চালু হয়।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘বদলি-পদোন্নতি নিয়েই ব্যস্ত পুলিশ কর্মকর্তারা’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পার হলেও পুলিশি ব্যবস্থা এখনো স্বাভাবিক পর্যায়ে আসেনি।

বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মনোযোগ বা কার্যক্রম মূলত বদলি, পদোন্নতি ও পদায়ন ঘিরে। এক্ষেত্রে পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সাত-আটজন কর্মকর্তার একটি গ্রুপ অত্যন্ত প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই গ্রুপ বিগত সময়ে ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তাদের তালিকা করছে। কে কোন থানার ওসি হবেন, কে কোন জেলার পুলিশ সুপার হবেন; রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদে কারা যাবেন—সেটা ঠিক করছে এই গ্রুপ।

এই ক্ষেত্রে পেশাদারত্ব কম গুরুত্ব পাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় বিবেচনায় পদোন্নতি পেয়েছেন, ঢাকায় চাকরি করছেন—এমন কর্মকর্তারাও ‘বঞ্চিত’ দাবি করছেন।

আবার বিগত সরকারের সময়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে শাস্তি পেয়েছেন এমন কর্মকর্তারাও একই দাবি করে সুবিধা নিচ্ছেন। এমন ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও উঠেছে।

একপর্যায়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঘুষ লেনদেন না করার অনুরোধ জানাতে বাধ্য হয় পুলিশ সদর দপ্তর। ৩১ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, একটি চক্র পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন ইউনিটে বদলির ভয় দেখিয়ে অর্থ দাবি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ধরনের প্রতারক চক্র থেকে সতর্ক থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত পুলিশ সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যেসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে; তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলেও অধিকাংশরা গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন।

বেশিরভাগ পুলিশ সদস্য এখনো কাজে যোগ দেয়নি। কিছু সদস্য কাজে যোগ দেয়ার পরেও আত্মগোপনে চলে যান। কিছু দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে আত্মগোপনে থাকা পুলিশ সদস্যের সংখ্যা কতো তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। পুলিশ সদর দপ্ততরের একটি সূত্র বলেছে, এই সংখ্যা ২৫০-৩০০।

তবে অপর একটি সূত্র বলেছে, এই সংখ্যা তিন হাজারের ওপরে। নিজেদের অপরাধ সম্পর্কে জেনে বুঝেই তারা গা ঢাকা দিয়েছেন। অনেকের বিরুদ্ধে এখনো সুনির্দিষ্টভাবে মামলা দায়ের না হলেও মামলা হতে পারে এই আশঙ্কায় পলাতক রয়েছেন।

ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় যেসব ছবি-ভিডিও এরইমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে, ওইসব নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে।

তাতে যাদের বিরুদ্ধে মানবতবিরোধী গণহত্যার অভিযোগ মিলছে তাদের সবাইকেই বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করা হবে বলে একাধিক সূত্র জানায়। যেসব পুলিশ সদস্য সরাসরি ছাত্র-জনতা হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ত তাদের বেশি ভাগই এখনো লাপাত্তা। বিশেষ করে যাদের ছবি-ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে, তারা আত্মগোপনে রয়েছে।

মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘কাজে ফিরতে চান শ্রমিকরা, উস্কানিতে তৃতীয় পক্ষ’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বেতন বৃদ্ধি, বকেয়া পরিশোধ, টিফিন, ছুটি বৃদ্ধি, মাতৃকালীন সময়ে ভারী কাজ না করা, কোম্পানির লভ্যাংশের অংশ প্রদানসহ বেশ কিছু দাবি নিয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে সাভার ও আশুলিয়ায় আন্দোলন করছেন পোশাক শ্রমিকরা।

সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সব দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসের পরও থামছে না শ্রমিকদের এই আন্দোলন।

কারখানা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণ শ্রমিকরা আন্দোলন চান না। তারা তাদের দৈনন্দিন কাজে ফিরতে চান। তাদের অভিযোগ বহিরাগত একটি পক্ষ দেশের শিল্পখাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য তাদের উস্কানি দিয়ে আন্দোলনে নামিয়েছে।

যার জেরে শুধু আশুলিয়াতেই ৮৬টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে আরও ১৩৩টি পোশাক কারখানায়।

কয়েকদিনের চলা আন্দোলনে শিল্প এলাকাগুলো যেন আতঙ্কের নগরীতে পরিণত হয়েছে। ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই তার ভবনের সামনে বড় বড় অক্ষরে লিখে রেখেছেন ‘এটা পোশাক কারখানা না’।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও এলাকাটিতে টহল জোরদার করেছে।

বিষয়টি নিয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকার এবং বিজিএমইএ সব পক্ষই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে। দু-একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘পিতাপুত্রের টাকা পাচার’।

প্রতিবেদনে মূলত শিল্পপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান এবং তার ছেলে সায়ান এফ রহমানের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। রপ্তানি ও আমদানির নামে ২৫৫ কোটি ডলার এখন পর্যন্ত দেশে আসেনি বলে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত হয়েছে। এ অর্থের বড় অংশ একাধিক কোম্পানির বিনিয়োগকারী পিতাপুত্র সম্মিলিতভাবে পাচার করেছেন।

দেশ থেকে বেক্সিমকো গ্রুপটির যে কোম্পানির পণ্য রপ্তানি করা হতো, এর মালিক সালমান এফ রহমান। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের যে কোম্পানিতে পণ্য রপ্তানি করা হতো, তার মালিক সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান।

অর্থাৎ বাংলাদেশে পিতার মালিকানাধীন কোম্পানিতে উৎপাদিত পণ্য লন্ডনে ছেলের মালিকানাধীন কোম্পানিতে রপ্তানি করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় যেসব পণ্য রপ্তানি হয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলোর মূল্য দেশে আসেনি। এসবের সঙ্গে জড়িত ৪৫ জন উদ্যোক্তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। রপ্তানি আয় দেশে আনেনি-এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে।

ওই তালিকা ধরে সিআইডি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির যদি দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকে, তাহলে বিদেশে কোনো সম্পদ থাকলে সে তথ্যও আয়কর রিটার্নে দেখাতে হয়।

আর দেশে যে সম্পদ থাকবে, সেগুলোর তথ্য তো রিটার্নে দেখাতেই হবে। বেক্সিমকো গ্রুপের সালমান এফ রহমান এবং তার ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান আয়কর রিটার্নে লন্ডনে কোম্পানি থাকার কোনো তথ্য উল্লেখ করেননি।

বিদেশে নিজের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোম্পানিতে পণ্য রপ্তানি করলে সে তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে জানাতে হবে। কিন্তু ব্যাংককে এসব তথ্য জানানো হয়নি বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারী সংস্থাগুলো।

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘সার সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমদানি করা সারের মূল্য বাবদ আট কোটি আট লাখ ডলার বা প্রায় এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়নি।

চুক্তির খেলাপ হওয়ার কারণে সরবরাহকারী চারটি দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সার রপ্তানির চুক্তি বাতিল করেছে। এতে তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে নন-ইউরিয়া জাতীয় সার আমদানি।

এসব ঋণ পরিশোধ করে পুনরায় সার আমদানির দ্রুত উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

সার রপ্তানি করা চারটি দেশ হলো চীন, সৌদি আরব, মরক্কো ও কানাডা। তাদের বকেয়া অর্থ পরিশোধ করে আমদানি শুরু করতে চায় বর্তমান সরকার।

এ ব্যাপারে কৃষি সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং টিম কাজ করছে। অন্তর্বর্তী সরকার অবশ্য এর মধ্যে চীনের বকেয়া অর্থ আংশিকভাবে পরিশোধ করেছে।

এসব দেশের বকেয়া পরিশোধ করে সরকার একদিকে যেমন সারের সংকট সমাধান করতে চায়, তেমনি বৈদেশিক বাণিজ্যে ব্যাংকিং খাতের আস্থা ফিরিয়ে আনতে চায়।

এ জন্য কৃষি উপদেষ্টার পরামর্শে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম কাজ করছে।

এ ছাড়া বাড়তি দামে যেসব সার আমদানির চুক্তি হয় বা টেন্ডার দেয়া হয়েছিল, সেগুলো বাতিল করা হচ্ছে। সার আমদানিতে অর্থ সাশ্রয়ে মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সংবাদের প্রধান শিরোনাম, ‘বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কক্সবাজার, পাহাড়ধসে ৭ জনের মৃত্যু’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, টানা ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার। বৈরী আবহাওয়ার ফলে পাহাড়ধসে কক্সবাজারে সদর ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর মধ্যে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে পাহাড়ধসে একই পরিবারের তিন জন, শহরের হালিমা পাড়ায় এক জন ও উখিয়ার ১৪ নম্বর ক্যাম্পের হাকিমপাড়ায় পাহাড়ধসে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, টানা ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে কক্সবাজারে। অব্যাহত এ বৃষ্টিপাত রেকর্ড ভেঙেছে গত ১০ বছরের।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস বলছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫০১ মিলিমিটার। চলমান মৌসুমে এটি একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।

আরও একদিন ভারি বৃষ্টি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ অবস্থান করায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বৃষ্টির পানিতে জেলা শহরের ৯০ ভাগ এলাকাসহ প্লাবিত শতাধিক গ্রাম। বুধবার থেকে কক্সবাজারে মাঝারি থেকে কখনো কখনো ভারী বর্ষণ হচ্ছে।

ভারী বর্ষণে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জেলা শহরসহ বেশ কিছু গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে অনেকের বাড়ি ঘর প্লাবিত হয়েছে। এতে এলাকায় জনজীবন দুর্ভোগে পড়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিতে এসব এলাকায় সাধারণ মানুষ খাবারে কষ্টে পাচ্ছেন।

ভারী বর্ষণে হোটেল-মোটেল জোন এখন পানিতে পানিতে সয়লাব। কলাতলী সড়ক, সকল উপসড়ক, সৈকতসংলগ্ন ছাতা মাকের্ট, হোটেল লাবণী থেকে সুগন্ধা এলাকায় এখন পানি আর পানি।

সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘তিন মেয়রেই ডুবেছে চট্টগ্রাম’।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) মেয়রের দায়িত্ব পালন করা তিন মেয়রের কেউ কোন নিয়ম না মেনেই পদে বসেছেন।

নিয়মানুযায়ী, দরপত্র পাওয়ার প্রধান শর্ত যোগ্যতা। সে কাজ বাস্তবায়নে অনুসরণ করার কথা সরকারি ক্রয়বিধি (পিপিপি)। কিন্তু তাদের নিয়োগে এসব নিয়ম থেকেছে উপেক্ষিত।

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে তিনজনই গুরুত্ব দিয়েছেন তাদের পছন্দের ঠিকাদারকে। দলীয় ঠিকাদারদের মাঝেই ভাগাভাগি করে দিয়েছেন প্রায় আট হাজার কোটি টাকার কাজ।

এতে কমে গেছে প্রতিযোগিতা। খারাপ হয়েছে কাজের মানও। বেশির ভাগ প্রকল্পই শেষ হয়নি নির্ধারিত সময়ে। উল্টো বেড়েছে ব্যয়, গচ্চা গেছে হাজার হাজার কোটি টাকা। তার পরও একটু বৃষ্টি হলেই কোমরসমান পানিতে ডুবে যায় বন্দরনগরী। নাগরিক জীবনমানের উন্নতি ঘটেনি চট্টগ্রামবাসীর।

গত ১৫ বছরে তিন মেয়র মিলেও নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ একটি খালই খনন করতে পারেননি। অথচ এই খালের দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র তিন কিলোমিটার। উল্টো ২৮৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পে ব্যয় চার গুণ বেড়ে হয়েছে এক হাজার ১৩২ কোটি টাকা।

খাল ও নালা-নর্দমা পরিষ্কারের নামে তিন মেয়র প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করলেও নগরের জলাবদ্ধতা কমেনি। উল্টো বেড়েছে। গত দেড় দশকে খাল-নালায় পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীসহ মৃত্যুও হয়েছে ১২ জনের। বর্জ্য সংগ্রহের নামে ঘনিষ্ঠজনদের দিয়ে হয়েছে শতকোটি টাকার ময়লা বাণিজ্য।

ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সংস্কারে সহায়তায় জোর দেবে যুক্তরাষ্ট্র’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তিনদিনের সফরে আজ শনিবার ঢাকায় আসছে উচ্চপর্যায়ের একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল। দুই দেশের ভবিষ্যত সম্পর্ক জোরদারের এই সফরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিভিন্ন খাতে সহায়তার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।

বাংলাদেশের বর্তমান সংকট উত্তরণের চাহিদাগুলো জানতে চাইবে ওয়াশিংটন। একইসঙ্গে বিষয়গুলোতে সামনের দিনে কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করবে দুই পক্ষ।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এটাই যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কোনো প্রতিনিধি দলের প্রথম ঢাকা সফর। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বলতে গেলে অস্বস্তির পর্যায়ে পৌঁছেছিল।

গণতন্ত্র-মানবাধিকারের মতো ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বারবার উদ্বেগ জানালেও তা আমলে নেয়নি শেখ হাসিনা সরকার। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দুইদিনের সফরে ঢাকায় এলেও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কারও সঙ্গে তার কোনো বৈঠক বা কথাবার্তাও হয়নি।

কিন্তু গত মাসে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় আসছে আলোচনার জন্য।

তারা আজ আলাদাভাবে ওয়াশিংটন ও দিল্লি থেকে ঢাকায় আসবেন। আজই তারা একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবে প্রতিনিধি দলটি। বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত