ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৬৩১, আহত ১৯ হাজারের বেশি

  প্রতিবেদন

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৪

গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৬৩১, আহত ১৯ হাজারের বেশি
গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৬৩১, আহত ১৯ হাজারের বেশি। ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘাত-সহিংসতায় হতাহতদের পরিপূর্ণ তালিকা তৈরি করতে গত ১৫ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে। গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ওই কমিটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অন্তত ৬৩১ জন ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১৯ হাজার ২০০ জনের বেশি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৪৫০ জনেরও বেশি মানুষকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল এবং এই ২১ দিনের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮১ জন মারা গেছেন।

আহতদের মধ্যে ১৬ হাজার জনের বেশি সারা দেশে সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং অন্তত তিন হাজার জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ও কমিটির প্রধান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহ করা চ্যালেঞ্জিং। কারণ, তারা সরকারি হাসপাতালের মতো কঠোরভাবে ডেটা সংরক্ষণ করে না। কিছু ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা ভয়ে হাসপাতালে নাম রেজিস্ট্রি করতে চায় না।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এটি একটি খসড়া তালিকা। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এর ডেটা আরও আপডেট করছেন। কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে এই তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে এবং সেখানে আরও বেশ কিছু অতিরিক্ত তথ্য সংযুক্ত থাকবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের বেসরকারি ক্লিনিকে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের বিষয়ে সরকারকে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১১ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। চট্টগ্রামে আহতের সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, দুই হাজার।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে প্রাণহানিও ঘটেছে সর্বোচ্চ। এ বিভাগে নিহত হয়েছেন ৪৭৭ জন। নিহতের সংখ্যা সবচেয়ে কম বরিশালে, একজন।

চট্টগ্রাম ও খুলনায় নিহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৩ ও ৩৯ জন।

যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের মধ্যে তিন হাজার ৪৮ জনের অবস্থা ছিল গুরুতর। তাদের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়েছে। এ ছাড়া, কমপক্ষে ৫৩৫ জন তাদের আঘাতের কারণে স্থায়ীভাবে শারীরিক অক্ষম হয়ে পরেছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) আন্দোলনে আহত ও নিহতদের তালিকা তৈরি করছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত