ঢাকা, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

শ্বেতপত্র কমিটি দুর্নীতি ধরবে না, দুর্নীতির মাত্রা তুলে ধরবে: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১৯:০৯

শ্বেতপত্র কমিটি দুর্নীতি ধরবে না, দুর্নীতির মাত্রা তুলে ধরবে: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। (পুরনো ছবি)

পরিকল্পনা কমিশনে শ্বেতপত্র কমিটির প্রথম বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তার নেতৃত্বে গঠিত ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র কমিটি কোনো দুর্নীতি ধরবে না, দুর্নীতির মাত্রা তুলে ধরবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) পরিকল্পনা কমিশনে শ্বেতপত্র কমিটির প্রথম বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আগামী মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পরবর্তী সভা হবে। এ কমিটির কাজ মূলত অর্থনীতিতে স্বচ্ছতা আনয়নের জন্য একটি অনুশীলন। আমাদের মূল কাজ বর্তমান অর্থনীতির ভিত্তি ঠিক করা।

তিনি আরও বলেন, এটা দুর্নীতি ধরার কমিটি না, এই কমিটি কোথায় দুর্নীতি হয়েছে সেটা বলবে এবং পরামর্শ দেবে। দুর্নীতির মাত্রা এবং কেন হয়েছে সেটা আসবে। যাতে এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয়।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান বলেন, আমাদের কমিটি নতুন নীতিমালা তৈরিতে সহযোগিতা করবে। ভবিষ্যতের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে। এ ছাড়া এলডিসি উত্তরণের বিষয়ে কিছু পরামর্শ থাকবে। নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কি হবে সেটা আলোচনা হবে।

এই কমিটি মূল তিনটা বিষয়ে কাজ করবে জানিয়ে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এই কমিটি মূল তিনটা বিষয়ে কাজ করবে। যেসমস্ত তথ্য-উপাত্ত সরকারের পক্ষ থেকে সেগুলো বিশ্লেষণ, বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। কোনো একটা বিষয় যদি প্রস্তুত হয়ে যায় তাহলে সময়ের আগেই প্রকাশ করা হবে।

ব্যাংক ও আর্থিক খাতের দুর্নীতি ধরার প্রসঙ্গে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ব্যাংক এবং আর্থিক খাত সংস্কার নিয়ে মূল্যায়ন করব না, তবে ব্যক্তি খাতের বিষয়গুলো আসলে সেসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এ জন্য ব্যাংকিং কমিশন করা হচ্ছে তারা করবে। এসব প্রতিষ্ঠানে যাতে সুযোগ্য লোকদের বসানো যায় সেটা আমরা বলব।

তবে পুঁজি পাচারের বিষয়ে কাজ করবে জানিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান বলেন, পুঁজি পাচারের বিষয়ে আমরা কথা বলব। এটা আলোচনা হয়েছে। এটা একটা জটিল প্রক্রিয়া। খুঁজে পেলেও ওটার জন্য সেই দেশে মামলা করতে হবে। পরে সেই দেশের আইন অনুযায়ী আগাতে হবে। আর যাতে কেউ এই সুযোগ না পায় সেদিকে নজর দিতে হবে। এবং যারা এই কাজ করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত