ঢাকা, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমীন আত্মগোপনে, নতুন দায়িত্বে ওয়ালিয়ুর রহমান

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১৮:২৪

বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমীন আত্মগোপনে, নতুন দায়িত্বে ওয়ালিয়ুর রহমান
মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন ও হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান আজহারী। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে গেছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন। ফলে হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান আজহারীকে সেখানে নামাজ পড়ানোর জন্য নতুন খতিব হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার ও হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান।

জানা গেছে, আগামীকাল শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সেখানে জুমার নামাজ পড়াবেন হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান। তবে ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বিগত দুই জুমাতেও খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আ. হামিদ জমাদ্দার বলেন, বায়তুল মোকাররমের খতিব ৫ আগস্টের পর মসজিদে নামাজ পড়াতে আসছেন না। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার পরও যোগদান করেননি। তাই নতুন একজনকে নামাজ পড়ানোর জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর মুহাদ্দিস (৫ম গ্রেড) পদে ১৮ বছর ধরে কর্মরত। ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি। ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সাবেক মহাসচিব ও আজীবন সহসভাপতি, ফরিদাবাদ জামিয়া ও দারুল উলুম মিরপুর-৬ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং জামিয়া ইমদাদিয়ার সাবেক উপাধ্যক্ষ সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য হজরত মাওলানা আতাউর রহমান খানের দ্বিতীয় ছেলে।

তিনি হিফজুল কোরআন থেকে শুরু করে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়াতে পড়াশোনা করেন। এ ছাড়া ঢাকা নেসারিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে কামিল পাস করেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর (এমএ) ডিগ্রি নেন। দেশের অন্যতম শীর্ষ কওমি মাদ্রাসা রাজধানী ঢাকার জামিয়া হুসাইনিয়া আরজাবাদ মাদ্রাসা থেকে ইফতা (মুফতি) সনদ লাভ করেন।

মুফতি ড. ওয়ালিউর রহমান খান শিক্ষাজীবন শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মুহাদ্দিস (প্রথম শ্রেণি গ্রেড ৫) পদে যোগ দেন ২০০৫ সালে। তাছাড়া বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে বিকল্প খতিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ঈদ জামাতে ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছরই তিনি ইমামতি করেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় জাতীয় ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ের রাষ্ট্রীয় বা সরকারি কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয় তাকে। দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে টকশোতে নিয়মিত আলোচনা করেন তিনি। এছাড়া সৌদি আরবের ৪৩তম বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতায় ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া ওআইসি যুব কেরাত প্রতিযোগিতার বিভিন্ন অধিবেশনে এবং জাতীয় শিশু-কিশোর কোরআন প্রতিযোগিতায় তিনি বিচারক হিসেবে সংশ্লিষ্ট সবার আস্থা অর্জন করেছেন। এর আগে, তিনি মিশর, জর্দান, আলজেরিয়া ও সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হিফজুল কোরআন ও বিভিন্ন সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত