ঢাকা, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

জুলাই গণহত্যায় ৩২ সাংবাদিকসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১৫:৩৯  
আপডেট :
 ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১৬:৪১

জুলাই গণহত্যায় ৩২ সাংবাদিকসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জুলাই গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২ জন সাংবাদিককেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) আন্দোলনে নিহত রিহানের বাবা গোলাম রাজ্জাক এ আবেদন করেন। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন আইনজীবী এমএইচ গাজী তামিম।

গত ১৪ আগস্ট গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আবেদন করা হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত সাভারের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবীর এ আবেদন করেন। পরে ট্রাইব্যুনালের ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার প্রধান কো-অডিনেটর বরাবর অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম আবেদনটি দায়ের করেন।

আবেদনে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনার তারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি এ সময়ে আহত হয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন তারিখে নিহতরাও এর আওতায় থাকবে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ঘটনার স্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশকে।

অভিযোগে অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, এক থেকে নয় নম্বর আসামির নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় এবং আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।

তামিম আরও জানান, যেসব সাংবাদিক ৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গণহত্যা চালিয়ে নেয়ার উস্কানি দেন, তাদের আসামি করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন- বাংলাদেশের সাবেক তথ্য কমিশনার মাসুদ ভাট্টি, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও আইনজীবী নিঝুম মজুমদার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নইম নিজাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক ও টিভি সঞ্চালক নবনিতা চৌধুরী, এবি নিউজ২৪ ডটকমের সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায়, সময় টিভির সাবেক বার্তা প্রধান তুষার আবদুল্লাহ, ডিবিসির সম্পাদক জাহেদুল হাসান পিন্টু, ডিবিসির প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম ও চ্যানেল আইয়ের সোমা ইসলাম।

এছাড়াও অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান প্রভাষ আমিন, একাত্তর টিভির সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রূপা, একাত্তর টিভির বার্তা প্রধান শাকিল আহমেদ, একাত্তর টিভির হেড ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের মিথিলা ফারজানা (মোবাশ্বিরা ফারজানা মিথিলা), ইন্ডপেনডেন্ট টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশীস সৈকত, এশিয়ান টিভির হেড অব নিউজ মানষ ঘোষ, ডিবিসির প্রনব শাহা, এটিএন নিউজের সাবেক প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নি শাহা, এটিএন বাংলার সাবেক প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন (জাহিরুল ইসলাম মামুন), দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, চ্যানেল আইয়ের সোমা ইসলাম, ইত্তেফাকের শ্যামল সরকার, সমকালের অজয় দাশ প্রমুখ।

এর আগে, গত ১৪ আগস্ট গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আবেদন করা হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত সাভারের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবীর এ আবেদন করেন। পরে ট্রাইব্যুনালের ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার প্রধান কো-অডিনেটর বরাবর অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম আবেদনটি দায়ের করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত