ঢাকা, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

‌‌‌‌‘গাজী টায়ার ভবনে ঢুকে উদ্ধারকাজ চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’

  প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১৪:২৪  
আপডেট :
 ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১৪:৩৩

‌‌‌‌‘গাজী টায়ার ভবনে ঢুকে উদ্ধারকাজ চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’
রূপগঞ্জে আগুন লাগা ‌‌‌‌গাজী টায়ার্স ভবন পরিদর্শন করেন বুয়েটের প্রতিনিধি দল

নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের রূপসীতে অবস্থিত গাজী টায়ার কারখানায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ছয়তলা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে ভবনটির ওপরের অংশে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বুয়েটের প্রতিনিধি দল।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল দশটার দিকে পুড়ে যাওয়া গাজী টায়ার কারখানা পরিদর্শন শেষে বুয়েটের প্রফেসর রাকিব আহসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এ সময় তিনি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীবকে সঙ্গে নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের লেদার মেশিন দিয়ে ছাদের ওপরে ও বিভিন্ন তলার অংশ ঘুরে দেখেন। তবে উপরের অংশে উদ্ধার অভিযান না হলেও ভবনের ভিত্তি প্রস্তরে কিছু অংশে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালাবেন।

এর আগে এদিন সকাল ৯টার দিকে বুয়েটের প্রতিনিধি দল গাজী টায়ারস কারখানা পরিদর্শনে আসেন।

এ সময় বুয়েটের প্রকৌশলী রাকিব আহসান বলেন, আমি সকালে এসে কারখানাটির অংশ পরিদর্শন করেছি এবং ফায়ার সার্ভিসের লেডার দিয়ে উপরে উঠে ভবনের বিভিন্ন অংশ চেক করে দেখেছি। আমরা খালি চোখে কোনো লাশ দেখতে পাইনি। টানা প্রায় তিন দিন ধরে আগুন জ্বলেছে ভবনটিতে। এ কারণে ভবনটির অনেক অংশ ধসে পড়েছে। ছয়তলা বিল্ডিংয়ের চারতলা ও পাঁচতলার ছাদ ভেঙে তিনতলার বেজমেন্ট এসে পড়েছে। ভবনের আগুন উপরের দিকে বেশি সময় ধরে জ্বলার কারণে উপরের দিকে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। ভবনটিতে প্রচুর কেমিক্যাল ছিল।

তিনি বলেন, ভবনটির তৃতীয় তলার ও বিভিন্ন অংশ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে ভবনটিতে উদ্ধারকাজ চালানো খুবই বিপজ্জনক। যখন র‍্যাংগস ভবন ভেঙেছিল তখন আমরা গিয়েছিলাম; গাজী টায়ার কারখানার অবস্থা র‍্যাংগস ভবন থেকেও খারাপ। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ভবনটির নিচতলার বেইজমেন্টে উদ্ধার অভিযান চালাবে। ভবনটি ভেঙে ফেলা হলেও ভবনটিতে খুবই পরিকল্পনামাফিক ভাঙতে হবে।

এ সময় বৃহত্তর ঢাকার ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আনোয়ারুল হক বলেন, আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা তদন্ত কমিটির সঙ্গে বসেছিলাম। আমরা ড্রোন ও লেডার দিয়ে ভবনের বিভিন্ন অংশ চেক করেছি খালি চোখে যতটুকু দেখা যায়। ভবনের বিভিন্ন কলামের রড বের হয়ে গেছে ও ফুলে গেছে। চার ও পাঁচতলার তলার ওপর পড়েছে। এ ভবনে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব না। তবে আমরা ভবনের নিচে বেজমেন্টে রেসকিউ অপারেশন চালাব আজ।

উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত স্বজনদের দাবি অনুযায়ী ১৭৬ জন নিখোঁজের তালিকা পাওয়া গেছে। পরে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সমন্বয়ে তালিকা হলে সেখানে নিখোঁজের সংখ্যা ১২৯ জন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসবিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত