ঢাকা, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

সাত বছর আগে মাটি ধসে মৃত্যু: হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ২২:০১  
আপডেট :
 ২৭ আগস্ট ২০২৪, ২২:০৫

সাত বছর আগে মাটি ধসে মৃত্যু: হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা
ড. হাছান মাহমুদ। ছবি সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড় কেটে মাটি লুট করায় প্রায় সাত বছর আগে ওই পাহাড়ের মাটি ধসে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ ২৭৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন এক যুবদল নেতা।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল হকের আদালতে মামলাটি করেন উত্তর জেলা যুবদলের সহ দপ্তর সম্পাদক নাজিম উদ্দিন। মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদের সঙ্গে রাঙ্গুনিয়া ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ইউনিটের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বাদীর আইনজীবী আশরাফুর রহমান বলেন, আদালত রাঙ্গুনিয়া থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করতে এবং আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে বনবিভাগের সংরক্ষিত লেলাং পাহাড়ে ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর মাটি কাটার পড় ধস হয়ে শিশুসহ তিন জনের মৃত্যু হয়। হাছান মাহমুদের ক্ষমতা ব্যবহার করে বনবিভাগের সংরক্ষিত বনে অনধিকার প্রবেশ করে মাটি কেটে শহরের বিভিন্ন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানে ভরাটের কাজ করতেন আসামিরা। হাছান মাহমুদের পালিত সন্ত্রাসীরা ওই পাহাড়ের মাটি কাটার সময় পাহাড় ধসে শিশুসহ তিনজন মারা যায়।

আইনজীবী আশরাফুর রহমান বলেন, অনধিকার প্রবেশ করে তিনজনকে হত্যার অভিযোগে ৪৪৭-৪৮, ৩২৩, ৩০৪ ধারা ও দণ্ডবিধির ৩৪ ধারায় এ হত্যা মামলা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বপালনকারী হাছান মাহমুদ এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে ২০০৯ সালে মাস ছয়েক তিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তবে সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। গত ৮ অগাস্ট হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত