ঢাকা, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

সাবেক বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে ‘অনুপ্রবেশ চেষ্টার’ মামলা

  প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ২১:৩৭

সাবেক বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে ‘অনুপ্রবেশ চেষ্টার’ মামলা
সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ছবি: সংগৃহীত

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার দায়ে সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার রাতে সিলেটের কানাইঘাট থানা পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করে।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৩ আগস্ট রাত ১১টার দিকে অবৈধভাবে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিচারপতি মানিককে আটক করে বিজিবি। পরদিন বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ তাকে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসেনের আদালতে হাজির করে। আদালত ৫৪ ধারায় বিচারপতি মানিককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতে হাজির করার সময় উত্তেজিত জনতা তার ওপর ডিম ও জুতা নিক্ষেপ এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। একপর্যায়ে তার অণ্ডকোষ ফেটে যায়। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় মানিকের নামে নোয়াখালীর আদালতে মামলা হয়েছে। একই অভিযোগে গত ২২ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে আইনজীবী মো. জিয়াউল হক বাদী হয়ে আরেকটি মামলার আবেদন করেন। আদালত অভিযোগটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

১৯৭৮ সালে হাই কোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন জীবন শুরু করা চৌধুরী মানিক ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হন। ২০০১ সালে তাকে হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারক করে নেয় সরকার। কিন্তু পরে বিএনপি সরকার এসে তাকে বাদ দেয়।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর হাই কোর্টের একটি রায়ে বিচারকের আসনে ফেরেন শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ২০১৩ সালে তাকে পদোন্নতি দিয়ে আপিল বিভাগের বিচারক করা হয়।

২০১৫ সালে অবসরে যাওয়ার আগে তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে বার বার শিরোনাম হয়েছেন বিচারপতি মানিক। সে সময় তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগও করেছিলেন।

অবসরের পর তাকে নিয়মিত টেলিভিশনের আলোচনা অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে দেখা যেত। বরাবরই তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত