ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

আখাউড়ায় পাহাড়ি ঢলে স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট প্লাবিত

  ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৪, ১৭:০৩

আখাউড়ায় পাহাড়ি ঢলে স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট প্লাবিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট প্লাবিত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে স্থলবন্দর ও আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া পানির তোড়ে গাজীর বাজার এলাকায় একটি অস্থায়ী সেতু ভেঙে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী অবস্থায় আছে ৩০০ পরিবার।

বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন ও আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জ খায়রুল আলম। এর আগে সকাল ১০টার পর ইমিগ্রেশনের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাত থেকে আখাউড়ায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়। আজ (বুধবার) সকাল থেকে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও স্থলবন্দরের পাশ বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে সীমান্তের ওপার থেকে পাহাড়ি ঢল আসতে শুরু করে। একপর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এছাড়া আখাউড়া স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশনে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা উপজেলার গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু ভেঙে যায়। এর আগে মঙ্গলবার খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জ খায়রুল আলম বলেন, সকাল ১০টা পর্যন্ত ২০-৩০ জন যাত্রী আসা-যাওয়া করেছেন। সকাল ১০টার পর থেকে ইমিগ্রেশনের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কার্যালয়ের সব কক্ষে পানি ঢুকে পড়েছে বলেও জানান তিনি।

উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, আজ (বুধবার) সকালে তীব্র বেগে ভারত থেকে পানি আসতে শুরু করে। এতে অনেক গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। আখাউড়া-আগরতলা সড়কের অস্থায়ী সেতু ভেঙে যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন বলেন, পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ৫০ গ্রামটি প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে। আখাউড়া স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশনে হাঁটুপানি জমেছে। এলাকাবাসী মিলে বাঁধের অংশ মেরামত করেছেন। সেতুটি মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে খবর দেয়া হয়েছে। তবে দ্রুত যান চলাচলের উপযোগী করা যাবে না বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত