ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

আশুলিয়ায় সাবেক এমপিসহ ৪০ জনের নামে হত্যা মামলা

  সাভার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১৪:২৩

আশুলিয়ায় সাবেক এমপিসহ ৪০ জনের নামে হত্যা মামলা
প্রতীকী ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাভারের আশুলিয়ায় গত ৫ আগস্ট আল-সাবুর (১৫) নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন মাদবর, ইয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ সুমন ভুইয়া ও তার বোন জামাই রুবেল আহমেদ ভুইয়া ওরফে জামাই রুবেলসহ ৪০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার সকালে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রবিবার রাতে নিহত শিক্ষার্থীর মা মোছা. রাহেন জান্নাত ফেরদৌসী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

নিহত আল-সাবুর (১৬) নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানাধীন মহাদেবপুর গ্রামের এনাফ নায়েদ ওরফে জাকিরের ছেলে। সে পরিবারের সঙ্গে আশুলিয়ার জামগড়া শিমুলতলা এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় শাহীন স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আল-সাবুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে বাইপাইলে যায়। দুপুর তিনটা পর্যন্ত আল-সাবুরের সাথে তার মায়ের যোগাযোগ হয়। কিন্তু তারপর থেকে তার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারেনি তার মা।

সেদিন রাতে সে বাসায়ও ফেরেনি। পরেরদিন বাইপাইল গিয়ে আল-সাবুরের ক্ষত-বিক্ষত পোড়া মরদেহ দেখতে পায় তার পরিবার। পরে তার মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে জানাযা ও দাফন সম্পূর্ণ করে তার পরিবার।

এজাহারে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে নিহতের পরিবার জানতে পারেন, গত ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক থেকে দেড় হাজার আন্দোলনকারী বাইপাইলে অবস্থান নেন।

এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীসহ যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই এলোপাতাড়ি পিটিয়েছে ও গুলি করেছে। তখন আল-সাবুর দৌড়ে পালানোর সময় আসামিদের হাতে ধরা পড়ে গেলে তারা লাঠি দিয়ে মারপিট ও গুলি করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এত আল-সাবুর ঘটনাস্থলেই মারা যান।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকার, ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য এনামুল হক মুন্সী, আশুলিয়ার গাজীরচটের শাকিল মুন্সী, আবুল ভূইয়া, সাইফুল ইসলাম রানা ও মাসুম মুন্সী, ভাদাইলের সাদেক ভূঁইয়া ও আশরাফ, জিরাবো এলাকার সাইফুল ইসলাম বেপারী হিকু ও রাজু দেওয়ান, ঘোষবাগের মজিবর রহমান ওরফে চুরা মজিবর, ইয়ারপুরের মোশাররফ হোসেন মুসা ও হাসান কবির।

এছাড়াও জামগড়ার কাব্য ভুঁইয়া, আলম ভুঁইয়া, ফারুক ভূঁইয়া, বশির ভুঁইয়া, মিলন মীর, সানি ভুঁইয়া, ইদ্রিস আলী, তালহাত ভূঁইয়া, সফর শেখ, ও উজ্জল ভুঁইয়া, গোরাটের আরিফ মাদবর ও ফরিদ মন্ডল, টংগাবাড়ীর শাহাদত মুন্সী, হেলার মাদবর, ইমতিয়াজ দেওয়ান, সাইদুর রহমান সম্রাট, ইয়াছিন আরাফাত পাপ্পু ও আশরাফ উদ্দিন মাদবর, বগাবাড়ীর সবেদ আলী, চাঁনগাও এর ইয়াকুব মাদবর, চিত্রশাইলের খলিল প্রধান, নরসিংহপুরের শেখ শাহ জালাল শাওনসহ অজ্ঞাত নামা আরও অনেকে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত