নুরকে রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে

দুই দফা রিমান্ডে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী মারিয়া নুর।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ভুক্তভোগী পরিবারের উদ্যোগে ‘নুরুল হক নুরসহ আটককৃতদের মুক্তি, রিমান্ডে নির্যাতন বন্ধ ও চিকিৎসার দাবিতে’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। রিমান্ডে নুরের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা করতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনের বেশির ভাগ সময়জুড়েই কেঁদেছেন মারিয়া।

আদানির বকেয়া নিয়ে চাপে বাংলাদেশ

আদালতের কাছে বারবার অনুরোধ করার পরও নুরের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাননি বলে জানান তিনি। বলেন, নুর তাকে জানিয়েছেন, রিমান্ডের পাঁচ দিন তার ওপর ভয়ংকর অত্যাচার করা হয়েছে। এ কথা বলেই কেঁদে ফেলেন মারিয়া।

তিনি বলেন, নুরের পা দুটি ওপরের দিকে ঝুলিয়ে, তার পরে যত নির্যাতন আছে- ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে। একে স্লো পয়জনিং বলে সন্দেহ তাদের। নির্যাতনের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে নুর তিন থেকে চারবার অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এর পর কী হয়েছে তা বলতে পারেননি ডাকসুর সাবেক ভিপি।

মারিয়া বলেন, আমার স্বামী যেন চিকিৎসাটা পায়। তার ওপর আর যেন শারীরিক নির্যাতন করা না হয়। আমাদের চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমার স্বামীকে আমি রাজনীতি করতে দেব না। শুধু তাঁকে আমাদের কাছে ফেরত দিন।

তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার যখন তাঁকে কোর্টে তোলা হয়, সে এক বিমর্ষ চিত্র। সে তো কোনো চোর-ডাকাত নয়, ও তো খুনি নয়। ও তো কোনো জঙ্গি নয়। ও তো কোনো অন্যায় করেনি, ও তো কোনো অপরাধ করেনি, ও তো কোনো ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত না। সে ডাকসুর সাবেক ভিপি। আগে ছাত্র আন্দোলন করেছে। সেজন্য ছাত্রদের নিয়ে কথা বলছে এবং তাদের আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে। এ অধিকার তো সংবিধানে আছে।

রিমান্ডে তার কাছ থেকে বাববার স্বীকারোক্তি নেয়ার চেষ্টা করছে। নির্যাতনের কারণে তিনি হেঁটে আদালত কক্ষে যেতে পারেননি। পুলিশের কাঁধে ভর দিয়ে তার পরে আদালতে উঠতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মারিয়া বলেন, রিমান্ডে জানতে চাওয়া হয়, ও নির্বাচনে যায়নি কেন? সে কেন বিভিন্ন দূতাবাসে যায়?

এ সময় নুরের বাবা ইদ্রিস হাওলাদার, মেয়ে তাসমিয়া নুর, বোন জেসমিন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চ পরিষদ সদস্য আবু হানিফের বোন নিলুফা এবং দলের প্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জর্নাল/এফএম