ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ ঢাবি সিন্ডিকেটের প্রথম বৈঠক, চলছে দ্বিতীয়টি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪১  
আপডেট :
 ১৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৬

সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ ঢাবি সিন্ডিকেটের প্রথম বৈঠক, চলছে দ্বিতীয়টি
প্রথম সভা শেষে নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সদস্যরা

সিদ্ধান্ত ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের প্রথম সভাটি শেষ হয়েছে। এরপর সদস্যরা দ্বিতীয় বৈঠক করার জন্য উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনে রয়েছেন।

বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের কার্যালয়ে প্রথম এ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই এ সভা শেষ হয়। এরপর ভিসির বাসার দিকে রওনা হন ঢাবির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সদস্যরা। শিক্ষার্থীদের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে এ সভা ডাকা হয়।

সভায় যোগ দেয়া সিন্ডিকেট সদস্য আবুল মনসুর আহাম্মদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সকাল ১০টায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুরু হয় জরুরি সিন্ডিকেট সভা। এ সভায় সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা ছিল কখন শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করবেন। এক ঘণ্টা পর সভা শেষে বাইরে আসেন উপাচার্যসহ অন্যান্য সদস্যরা। এসময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তারা। বিজিবি ও পুলিশ নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে উপাচার্যের বাসভবনে পৌঁছে দেয়া হয় তাদেরকে। উপাচার্যের বাসভবনে বৈঠক চলছে। এই বৈঠক শেষে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে।

এরইমধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বেশ কয়েকটি হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে হল কর্তৃপক্ষ। ছাত্র রাজনীতি আর থাকবে না- এই মর্মে লেখা ভিন্ন ভিন্ন বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন হলের প্রভোস্টরা। মধ্যরাত থেকে এ ঘোষণা দেয়া শুরু হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ছাড়ার নির্দেশনা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন, দফায় দফায় সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার রাতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ছাড়ার বিষয়ে নির্দেশনা দিতে উপাচার্যদের চিঠি দেয় ইউজিসি।

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও হামলায় কমপক্ষে ছয় জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অনেকে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে কোথাও ছাত্রলীগ-যুবলীগ, কোথাও পুলিশ সংঘর্ষে জড়ায়। নিহতদের মধ্যে চট্টগ্রামে তিন জন, ঢাকায় দু’জন ও রংপুরের একজন রয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গতকাল বিকেল থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রংপুর ও রাজশাহীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসবিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত