টাঙ্গাইলে পানিবন্দি প্রায় ৫০ হাজার মানুষ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৪, ১৩:০৬ আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৪, ১৩:২১
টাঙ্গাইলে যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। এখনও জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার ৮১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বন্যায় জেলার গোপালপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, দেলদুয়ার, নাগরপুর ও বাসাইল উপজেলার ১১৪টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বাঁধ ও সড়ক ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি। ফলে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।
এদিকে বন্যার কারণে গোচারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে গো খাদ্যের সংকট। চড়া দামে কিনতে হচ্ছে গোখাদ্য। পানি উঠায় জেলার ৩৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। পানির নিচে চলে গেছে সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমির পাট, আউস ধান, তিল ও সবজি। ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাছ।
জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, টাঙ্গাইলে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত উপজেলায় দুই হাজার করে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ২০ টন জিআর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আরও ৮শ’ টন চাল ও ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। পর্যায়ক্রমে বন্যাকবলিতদের মাঝে তা বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরএইচ