ঢাকা, শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১ আপডেট : ৪ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

কোটা বাতিলের দাবিতে ফের শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৬:৫৪  
আপডেট :
 ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৭:৪২

কোটা বাতিলের দাবিতে ফের শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আজ বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশী ৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে থামে৷ সেখানে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা ৷ অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে যানজট।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীর মিছিলটি শুরু হয় বেলা আড়াইটার পর ৷ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দোয়েল চত্বর ও সুপ্রিম কোর্টের সামনে দিয়ে শাহবাগে এসে মিছিলটি থামে বিকেল পৌনে চারটার দিকে ৷ এরপর থেকে শাহবাগ মোড়ে সড়কের ওপর অবস্থান নিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা ৷

মিছিলে আন্দোলনকারীরা ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ প্রভৃতি বলে স্লোগান দেন ৷ মিছিলটি শাহবাগে পৌঁছানোর আগেই সেখানে সড়কের ওপর বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য অবস্থান করছিলেন ৷ তবে পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়নি ৷

শাহবাগ মোড়ের সড়কে অবস্থা নেওয়া চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে ৷ তাঁরা দাবির পক্ষে নানা স্লোগান দিচ্ছেন ৷ রাস্তার এক পাশে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন ৷ অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে ৷ তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট ৷ এর আগে গতকালও এক ঘণ্টার জন্য শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছিলেন এই আন্দোলনকারীরা ৷

আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁদের আজকের কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজধানীর সাত সরকারি কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন ৷ কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন ৷ সবার দাবি, আগামীকাল উচ্চআদালতে যে শুনানি রয়েছে, সেখানে যেন আপামর শিক্ষার্থীদের স্বার্থের পক্ষে রায় দেন ৷

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল৷ এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল৷ ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়৷ কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা ৷ পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৷ এর মাধ্যমে ৪৬ বছর ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যে কোটাব্যবস্থা ছিল, তা বাতিল হয়ে যায়৷ পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন ৷ সেই রিটের রায়ে ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশটি অবৈধ ঘোষণা করা হয়৷ এরপর থেকেই চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছেন ৷

বাংলাদেশ জার্নাল/এসবিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত