ঢাকা, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

এবার ফাঁসছেন পরিবারসহ এনবিআরের সাবেক সহকারী কমিশনার

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪, ১৮:৫০  
আপডেট :
 ০১ জুলাই ২০২৪, ১৮:৫৫

এবার ফাঁসছেন পরিবারসহ এনবিআরের সাবেক সহকারী কমিশনার
কাস্টমস বিভাগের সাবেক সহকারী কমিশনার মোখলেছুর রহমান

ছাগলকাণ্ডের মতিউর রহমানের পর এবার ফেঁসে যাচ্ছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক এক কর্মকর্তা। সংস্থাটির কাস্টমস বিভাগের সাবেক সহকারী কমিশনার মোখলেছুর রহমান ও তার পরিবারের ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক। তথ্য প্রমাণাদি পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি।

দুদকের তথ্য-প্রমাণ বলছে, মোখলেছ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার অর্জিত অর্থ দিয়ে স্ত্রী ও ছেলের নামে সম্পদ গড়ে তুলেছেন। নিজেকে রক্ষা ও দুদকের কাজে বাধা দিতে বিভিন্ন সময়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। যদিও আইনগত জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত মোখলেছুর রহমানের পরিবারের তিন সদস্য এখন চার্জশিটভুক্ত আসামি। শিগগিরই তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ২৫ জুন কমিশন থেকে কাস্টমস কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ২ নভেম্বর ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে এনবিআর কাস্টমস বিভাগের সাবেক সদস্য আলোচিত মতিউর রহমান ও কর বিভাগের প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মো. মোখলেছুর রহমান খান (সাহান) ১৯৮০ সালের ১ অক্টোবর কাস্টমস ও এক্সসাইজ অফিস বিভাগে পরিদর্শক পদে যোগদান করেন। তিনি গত ২০১২ সালে সহকারী কমিশনার পদে পদোন্নতি পান। ২০১৬ সালের ৫ আগস্ট সহকারী কমিশনার হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

এতে আরো জানা গেছে, চাকরিকালে তিনি নিজ নামে ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪০৬ টাকার স্থাবর এবং দুই কোটি ৭৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৫ টাকার অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। তার মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ৮১ টাকা। তার পারিবারিক ব্যয় এক কোটি ৬৩ লাখ ৪২ হাজার ২৪৬ টাকাসহ মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ চার কোটি ৯৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৩৩ টাকা।

যার বিপরীতে মোট আয় পাওয়া যায় চার কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার ২২০ টাকা। অর্থাৎ ৬৫ লাখ ৪৭ হাজার ১১৩ টাকা অবৈধ হিসাব হিসেবে প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসবিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত