ঢাকা, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভারতের সঙ্গে ১২০ চুক্তি করেছে সরকার’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৪, ২১:৪২

‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভারতের সঙ্গে ১২০ চুক্তি করেছে সরকার’
সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অন্তরায় ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা। ছবি: প্রতিবেদক

‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভারতের সাথে ১২০টি চুক্তি করেছে। এইসব চুক্তির মাধ্যমে ভারত লাভবান হচ্ছে কিন্তু আমাদের দেশের জনগণের কোনো লাভ হচ্ছে না।’

শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের গভর্নেন্স এন্ড পলিসি রিসার্চ-জিপিআর এর উদ্যোগে 'সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অন্তরায় ও করণীয়' শীর্ষক সেমিনারে নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে একের পর এক ভারতকে সমুদ্রবন্দর করিডোর, স্থলবন্দর করিডোর, নদীবন্দর করিডোর এবং সর্বশেষ রেললাইন করিডোর দিয়েছে। ভারতের আগ্রাসনের কারণে আজ বাংলাদেশ সার্বভৌমত্ব হারাতে বসেছে। স্বৈরাচারী আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদেরকে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, বাংলাদেশে যেমন অবক্ষয় হয়েছে তেমনি সারাবিশ্বেও অবক্ষয় হয়েছে। এই অবক্ষয় থেকে বুলেট ও ব্যালেটের দ্বন্দ্ব শুরু। এরপর শুরু হয় মাদকের ভয়াবহতা। আজ দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে যড়যন্ত্র চলছে সেভেন সিস্টারে খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে। এই অবস্থা চললে পার্বত্য চট্টগ্রাম আমাদের হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বে অফ বেঙ্গল ভবিষ্যতে ল্যান্ড হিসেবে প্রকাশ পাবে। ভারতকে যে ট্রানজিট দিয়েছে তাতে আমাদের লাভবান হওয়ার সুযোগ খুব কম। আমাদের দেশে সাগর অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা কম হচ্ছে।

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ আব্দুর রব বলেন, নেপাল থেকে বাংলাদেশের ২২ কিলোমিটার ট্রানজিট করিডোর দিচ্ছে না ভারত। ভুটানের সাথে ৩৫ কিলোমিটারের ট্রানজিট করিডোরও দিচ্ছে না ভারত। অথচ ৮৬১ কিলোমিটার রেল করিডোর ভারত ব্যবহার করবে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য ভারতকে সব দিয়ে দিচ্ছে।

নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুল হক পিএসসি প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বলেন, ছাত্র রাজনীতি নামে অপরাজনীতি চালু করে বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ইমরান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত ট্রানজিট দিয়েছে। অথচ ভারত আমাদের পানি ন্যায্য হিস্যা দিচ্ছে না। যখন আমাদের পানির প্রয়োজন নাই তখন পানি ছেড়ে দিয়ে সারাদেশকে বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে ভারত। ভারতের আগ্রাসন থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে।

মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন বলেন, রাষ্ট্র যে আজকের এই অবস্থায় যাবে তা আমরা ২০০৯ সালে বুঝতে পারি। আমাদের বিভিন্ন বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেয়া হয়েছে। দেশকে রক্ষা করতে হলে বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে হবে। আন্দোলন করে সফল হচ্ছি না, বিরোধী দলগুলোর ব্যর্থতার কারণে। আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের সাথে ১২০টা চুক্তি করেছে ক্ষমতায় টিকে থাকতে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত