ঢাকা, রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ৭ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

মাদরাসা শিক্ষকের বেধড়ক বেত্রাঘাতে চোখ হারাল শিশু শিক্ষার্থী

  নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৪, ১৯:১৮

মাদরাসা শিক্ষকের বেধড়ক বেত্রাঘাতে চোখ হারাল শিশু শিক্ষার্থী
মাদরাসা শিক্ষকের বেধড়ক বেত্রাঘাতে চোখ হারাল শিশু শিক্ষার্থী মো. আয়াতুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

মাদরাসার হেফজখানার মো. আয়াতুল ইসলাম (৭) নোমে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে একটি চোখ নষ্ট করে দিয়েছেন শিক্ষক মোছাম্মৎ শাহিন আক্তার। চোখে আঘাত পাওয়ার পর গোপন করে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই একটি ড্রপ ব্যবহার করেছেন, যার কারণে চোখ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে ছেলের এমন অবস্থা দেখে বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দ্বারস্থ হয়েছেন ভুক্তভোগী শিশুটির মা স্বপ্না আক্তার।

এর আগে গত ২৬ মে এমন ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর জোটপুকুর পাড় এলাকায় বাগে সিরিকোট তাহফিজুল কুরআন আইডিয়াল মাদরাসায়।

অভিযোগপত্রে স্বপ্না আক্তার উল্লেখ করেন, শিক্ষিকা মোছাম্মৎ শাহিন আক্তার আমার ছেলেকে পড়া কম পড়ার অজুহাতে বেধড়ক বেত্রাঘাত করে তার বাম চোখের দৃষ্টি নষ্ট করে ফেলে। সকল চিকিৎসা শেষ করে চিকিৎসকরা জানিয়েছে, আমার ছেলের চোখের মণিতে ব্যাপক আঘাত হওয়ায় সে চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। এমতাবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তির স্মরণাপন্ন হয়েছি। গত ২৬ মে ওই শিক্ষিকা চোখে আঘাত করে, যা গোপন রাখে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান তিনি।

আয়াতুল ইসলামের বাবা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত ২৮ মে নাশতা নিয়ে আমারা ছেলেকে দেখতে যায়। তখন মাদরাসা থেকে বলা হয়, আয়াতুলের চোখে রক্ত উঠে লাল হয়ে গেছে। তাই দেখা করা যাবে না। এরপর আমরা চলে আসি। পরদিন ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে হঠাৎ বাড়িতে এসে হাজির হয় ছেলে। তারপর ঘটনা জানাজানি হয়।

তিনি বলেন, ভোরে মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. মহিউদ্দিন মাহমুদ বাসায় হাজির হন। ছেলের জ্বর উঠেছে, এ কথা বলে দ্রুত বের হয়ে যান। এরপর ছেলে জানায়, পড়া না পারার কারণে তাকে মারধর করা হয়েছে। চোখে ড্রপ দেওয়া হয়। এমনকি মারধরের বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ও দেখানো হয়েছে।

তবে মাদরাসায় কেউ মারধর করেনি দাবি করে অধ্যক্ষ মো. মহিউদ্দিন মানিক বলেন, আায়াতের চোখ লাল হওয়ায় অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলাম।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়েছি। পরিবারকে ছেলের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। সেই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত