ঢাকা, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

গঙ্গা-তিস্তা ও ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ নিয়ে যা বললেন মন্ত্রী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৪, ১৬:২৯  
আপডেট :
 ২৬ জুন ২০২৪, ১৬:৪৩

গঙ্গা-তিস্তা ও ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ নিয়ে যা বললেন মন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

গঙ্গা ও তিস্তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের আপত্তিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পাশাপাশি ১৯৬৫ সালে এবং যুদ্ধের পর ভারতের সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাওয়া রেল যোগাযোগ ধীরে ধীরে চালু করার কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (২৬ জুন) ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডের সঙ্গে সাক্ষাতের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গা ও তিস্তায় বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিমতের কথা বলেছেন। রাজ্য সরকারের কারণে কিন্তু বাংলাদেশ তিস্তার পানি পায়নি। এখন আবার বাঁধা হয়ে সামনে আসছে রাজ্য সরকার। এমন পরিস্থিতি কোনো আশা দেখেন কি না? -জানতে চাওয়া হয় মন্ত্রীর কাছে।

জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিষয় তাদের আভ্যন্তরীণ। আমাদের সরকার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতা স্মারক করে বা চুক্তি করে। ঐকমত্য হয়, দ্বিমত হয়; সেটা তাদের একান্তই অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমি মনে করি, এ প্রশ্নটা ভারত সরকারকে করলে ভালো হয়। তারাই এটার সঠিক উত্তর দিতে পারবে। কারণ, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

গঙ্গা চুক্তি নবায়ন নিয়ে তিনি বলেন, গঙ্গা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চুক্তি না হলেও এটি অটোমেটিক চলবে। চুক্তিতে সেভাবে বলা আছে, আগে চুক্তিটি সেভাবে করা আছে। তবে আমরা নবায়ন নিয়ে আলোচনা করছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের জন্য দ্রুত একটি কারিগরি দল বাংলাদেশে যাবে। কবে নাগাদ কারিগরি দল আসতে পারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টেকনিক্যাল কমিটি আসতে তো একটু সময় লাগবে। মাত্র আমরা ঘুরে এলাম। টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করতে হবে।

ভারতের সঙ্গে পুনরায় বন্ধ রেল যোগাযোগ চালুর বিষয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে তার জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ তো আছে। ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা রেল যোগাযোগ। তারপর উত্তরবঙ্গ-শিলিগুড়ি রেল যোগাযোগ। ১৯৬৫ সালের আগে অনেক বেশি রেল যোগাযোগ ছিল এবং ৬৫ সালে যুদ্ধের পর এ রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। যেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, আমরা সেগুলো ধীরে ধীরে চালু করার কাজ করছি।

তিনি বলেন, শুধু ভারতের সঙ্গে হচ্ছে তা নয়, আমরা নেপাল ও ভুটানের সঙ্গেও রেলে এবং গাড়িতে করে যেতে পারি সে নিয়েও আলোচনা করছি। আমরা আঞ্চলিকভাবে যেন যোগাযোগ বাড়াতে পারি, সে নিয়ে আলোচনা করছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসবিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত