ঢাকা, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ আপডেট : ৬ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

‘এক নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে আরেক নোবেল বিজয়ীর মামলা’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৪, ১৭:১৩

‘এক নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে আরেক নোবেল বিজয়ীর মামলা’
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সংগৃহীত ছবি

নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো নজির নাই যে, এক নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে আরেক নোবেল বিজয়ী মামলা করেছে, দুদকে হাজির হয়েছে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, এই প্রথম লোহার খাঁচার কাঠগড়াতে দাঁড়াতে হলো। এটা একটা দেখার মতো দৃশ্য। এটা আমার জীবনের একটা স্মরণীয় ঘটনা যে লোহার খাঁচার ভেতরে দাঁড়িয়ে আছি আদালতের কাঠগড়ায়। এ অভিশপ্ত জীবনের একটা অংশ।

রোববার (২ জুন) দুপুরে দুদকের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা নোবেল পুরষ্কারের কথা সবাই জানি। দুটো নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হয়েছিল। একটা আমার নামে, আরেকটা গ্রামীণ ব্যাংকের নামে। দুটোরই সমান মর্যাদা। এটা যৌথভাবে দেয়া হয়েছে তাও না, দুটোই ইনডিপেন্ডেন্ট। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো নজির নাই যে, এক নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে আরেক নোবেল বিজয়ী মামলা করেছে, দুদকে হাজির হয়েছে। এটা আমাদের কপালে হয়েছে, এটা অভিশাপের একটা অংশ। এই অভিশাপ আমরা বহন করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘বিষয়টা এমন হয়েছে যে, পিতা-পুত্রের সম্পর্কের মতো দুই নোবেল বিজয়ী, আমার কারণে যেটা সৃষ্টি হয়েছে, নোবেল পুরষ্কার পেয়েছে সেটাও আমার সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে, কিন্তু তারা আমার বিরুদ্ধে এমনভাবে নিয়ে আসল, খুব কঠিন ভাষায়, রূঢ় ভাষায় আক্রমণ করল।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু রূঢ় ভাষায় আক্রমণ করে অভিযোগ করল, যে অভিযোগের ভিত্তি নেই। ঘটনার মধ্যে কোনো সত্যতা তো নেই, যে জিনিস দিয়ে দিয়েছিলাম, সেটার জন্যই আমাকে অভিযুক্ত করা হলো যে অনেক টাকা মেরে দিয়েছি ইত্যাদি। এ পর্যন্ত যত অভিযোগ এসেছে আমার বিরুদ্ধে এবং আমার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে, এটা আমার মনে কঠিনভাবে দাগ কেটেছে, কষ্ট লেগেছে কারণ আমার পরিবারকে আক্রমণ করেছে। কেন আমাদের এ অভিশাপ বহন করতে হচ্ছে, সেটা আমাদের আইনজীবী বলবেন।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘দেশের নাগরিক হিসেবে বলতে চাই, কেন কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হবে? আমার সহকর্মীরা তাদের জীবন দিয়ে দিয়েছে মানুষের উপকারের জন্য, তাদের কেন হেনস্তা করতে হবে। তাদেরকে লোহার খাঁচায় কেন ঢুকতে হবে।’

এর আগে রোববার শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন দুদকের করা অর্থ আত্মসাতের মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ আগামী ১১ জুন ধার্য করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত