ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

বিয়েতে সম্মতি ছিল না এডিসি সানজিদার!

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:৫৭  
আপডেট :
 ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:০৯

বিয়েতে সম্মতি ছিল না এডিসি সানজিদার!
ডিএমপির অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন নিপা । ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনার পর থেকে আলোচনা থেমে নেই। পুলিশের বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদের সঙ্গে ডিএমপির অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন নিপার বিয়ে হয়েছে কিনা তা নিয়েও চলছে নানা জল্পনা। এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবিও ভাইরাল হয়েছে। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ওই ছবিটি এডিট করা। সেটি হারুন-সানজিদার বিয়ের ছবি নয়।

সানজিদার পরিবার বলছে, হারুনের সঙ্গে সানজিদার সম্পর্ক নেই। তাদের বিয়ে হয়নি। পুলিশে চাকরি করেন বিধায় তারা সহকর্মী।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে কথা বলেছেন সানজিদার বড় বোন হোসনে আরা কামনা। তিনি বলেন, তাদের মধ্যে বিয়ে হয়নি। যেহেতু বিয়ে হয়নি, তাই ছাড়াছাড়িরও প্রশ্ন নেই।

তিনি বলেন, সানজিদার বিয়ে হয়েছে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুনের সঙ্গে। এডিসি হারুন তার কলিগ (সহকর্মী) মাত্র। তার সঙ্গে সানজিদার বিয়ে হয়নি। বিয়ে না হলে তো ছাড়াছাড়িরও প্রশ্ন নেই। সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই অপপ্রচারে তারা বিব্রতবোধ করছেন বলে তিনি জানান।

২০১৭ সালের ১০ মার্চ পারিবারিকভাবে ঘটা করে আজিজুল হক মামুনের সঙ্গে সানজিদার বিয়ে হয় বলে জানিয়েছেন নগদা শিমলা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার (বিয়ের কাজী) শামছুল হক।

তবে এই বিয়েতে সানজিদার সায় ছিল কিনা- এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে তার পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, ২০১৭ সালের ১০ মার্চ গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা আজিজুল হক মামুনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে সানজিদার বিয়ে হয়। তবে এই বিয়েতে সানজিদার তেমন সম্মতি ছিল না। এ কারণে বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। সানজিদা দীর্ঘদিন তার স্বামীর জেলা গাজীপুরে এএসপি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

সানজিদার পারিবারিক সূত্র জানা যায়, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের বিলডগা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত এম হোসেন আলীর সন্তান সানজিদা আফরিন নিপা। তার বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পরবর্তী সময়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। পাশাপাশি তিনি উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়ন পরিষদের সাতবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হোসেন আলী দীর্ঘদিন গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন। তার চার মেয়ের মধ্যে সানজিদা আফরিন নিপা তৃতীয়। বড় মেয়ে সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। দ্বিতীয় মেয়ে একজন চিকিৎসক। ছোট মেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা।

পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে কর্মরত। সানজিদা ৩১তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। ২০১৬ সালের ৫ মে থেকে ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে ছিলেন তিনি। এরপর ২০২১ সালের ৬ মে থেকে ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত গাজীপুর সদর সার্কেলে এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর তিনি ডিএমপিতে যোগ দেন।

আরও পড়ুন: এডিসি হারুনের সঙ্গে বিয়ে প্রসঙ্গে যা বললো সানজিদার পরিবার

প্রসঙ্গত, এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আহতরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ। এই দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ- পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে বেদম পিটিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দেয়ার পরও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ পুলিশ সদস্য মিলে তাদের পেটান।

জানা যায়, এডিসি হারুনের সঙ্গে শাহবাগের একটি হাসপাতালে পুলিশের এক নারী কর্মকর্তা আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী হাজির হন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন সেখান থেকে চলে যান। পরে পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শাহবাগ থানায় ডেকে নিয়ে মারধর করে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত