ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

তিস্তার পানি বিপদ সীমার উপরে, পানিবন্দি দুই গ্রামের মানুষ

  লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৩, ১৫:৫৩  
আপডেট :
 ১৯ জুন ২০২৩, ১৬:০৫

তিস্তার পানি বিপদ সীমার উপরে, পানিবন্দি দুই গ্রামের মানুষ
লালমনিরহাটের দুই উপজেলার কয়েকশত পরিবার পানিবন্দি । ছবি: প্রতিনিধি

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীতে পানি প্রবাহ বেড়ে গেছে। এজন্য দেশের বৃহত্তর সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের সব জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।

সোমবার সকাল ৬ টায় তিস্তা ব‌্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদ সীমার ৫ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার হওয়া স্বাভাবিক।

ওই পানিতে জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের কয়েক শত পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। তবে এ যাত্রায় আর পানির বিপৎসীমা অতিক্রম করার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা।

ব্যারেজ ও নদী তীরবর্তী মানুষ জানান, গত কয়েক দিন থেমে থেমে ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে যায়। শনিবার ভোর থেকে আরও বাড়তে থাকে নদীর পানি প্রবাহ। পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের জলকপাটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ভারতের গজলডোবায় তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় উজানের ঢেউ বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।

নদীপাড়ের লোকজন জানান, পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে জেলার চরাঞ্চলের ফসলের ক্ষেতগুলো ডুবে গেছে। নিম্নাঞ্চলের ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে।

মহিষখোচা এলাকার মানজেদুল ইসলাম জানান, তিস্তায় পানি বাড়লে বুকটাও কেঁপে ওঠে। চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু ক্ষেত তিস্তার পানিতে ডুবতে শুরু করেছে।

লালমনিরহাটের দুই উপজেলার কয়েকশত পরিবার পানিবন্দি । ছবি: প্রতিনিধি

ভোটমারীর শৌলমারী চরের মফিজ উদ্দিন বলেন, নদীতে পানি বাড়লেই চরাঞ্চলের মানুষ বন্দি হয়ে পড়ে। বর্ষাকালে বন্যা নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। তিস্তায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। এভাবে বাড়লে কিছুদিন পরেই বন্যা হবে।

আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে

পাউবো তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তবে আপাতত আর বিপৎসীমা অতিক্রম করার কোনো শঙ্কা নেই।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত