আমের পার্সেল হিসেবে পাঠানো নাটোর কলেজের শক্তিশালী বোমাটি নিষ্ক্রিয়
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৩, ১৩:৫২
নাটোরের গুরুদাসপুরে ‘সরকারি বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের’ অধ্যক্ষের অফিস কক্ষের সামনে রাখা শক্তিশালী বোমাটি নিষ্ক্রিয় করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। শনিবার সকাল থেকে কলেজের চারপাশ ঘিরে রেখে রাত সাড়ে বারোটায় শেষ হয় এই অভিযান।
এর আগে শনিবার দুপুর ২টার দিকে র্যাব-৫ (রাজশাহী) এর বোমা ডিসপোজাল ইউনিট এসে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বোমা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। তবে তাদের কাছে বোমা নিষ্ক্রিয় করার যন্ত্রপাতি না থাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে খবর দিলে রাত সাড়ে দশটার দিকে ডিএমপির একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে বোমা নিষ্ক্রিয় কার্যক্রম শুরু করে।
থানা পুলিশ, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও র্যাব জানায়, গুরুদাসপুর পৌর শহরের সরকারি বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলামের অফিস কক্ষের দরজা ঘেঁষে কে বা কারা প্লাষ্টিকের বস্তায় মোড়ানো একটি ল্যাগেজ রেখে যান। এর ওপরে লেখা ছিল ‘প্রিন্সিপাল, বঙ্গবন্ধু কলেজ, গুরুদাসপুর- আম্রপালি ৩০ কেজি’। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলেজে এসে বস্তাটি দেখতে পান। বস্তা দেখে সন্দেহ হলে থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। সকাল ৯টা থেকে কলেজে পুলিশ মোতায়েন করে র্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর পাঠানো হয়। পরে দুপুর ২টার দিকে র্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট এসে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সেখানে বোমা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে চলে যায়।
ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে- এটি শক্তিশালী বোমা ছিলো। যা বোমা নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সাহায্যে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘একটি সুটকেচের ভেতরে বোমাটি রাখা হয়েছিলো। যার মধ্যে ছিলো, ককটেল জাতীয় তিনটা বস্তু, পেট্রোল বোমার তিনটা বোতল এবং প্লাস্টিকের জারের মধ্যে কেমিকেল জাতীয় পদার্থ। টানা আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।’
সিংড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আক্তারুজ্জামান ও গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান বলেন, রাত সাড়ে দশটায় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট বোমাটি নিষ্ক্রিয় করার কার্যক্রম শুরু করে। রাত সাড়ে বারোটার দিকে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। কলেজে পার্সেলের ভেতরে বোমা কে রেখেছে সে বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটি পক্ষের সঙ্গে মামলা মোকদ্দমা চলছে। এই বিরোধের জেরে সম্প্রতি প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ও কলেজটি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।’
আরও পড়ুন: নাটোরে কলেজে শক্তিশালী বোমা, উদ্ধারে র্যাব-পুলিশ
বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ