মেস মালিকের নির্যাতনের শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা
যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৩, ১৩:২১
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রী মিলে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে থানায় অভিযোগ করেছেন তাদের মেস মালিক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটস্থ ‘বিশ্বাস’মেসের মালিক মো. রবিউল ইসলাম (৫৫) ও তার স্ত্রী তানিয়া বেগমের নামে বুধবার (১৪ জুন) যশোর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীরা।
ভুক্তভোগী ছাত্রীরা জানায়, অনুমতি ছাড়া গভীর রাতে রুমে পুরুষ মানুষ প্রবেশ, মনগড়া বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছিল মেসের মালিক ও তার স্ত্রী । সবশেষ বুধবার মেস মালিকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও মারধরের ঘটনার পর ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেসের মালিক রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রী।
জিডির তথ্য অনুযায়ী, যশোর কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমবটতলা বাজার সংলগ্ন ‘বিশ্বাস’ মেসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ভাড়া থাকে। গতকাল বিকেল ৫টায় রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রী তানিয়া বেগমের সাথে ছাত্রীদের ভাড়া নিয়া তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।
পরে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বাড়ির মালিক, শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে বিবদমান বাকি সমস্যাগুলো সমাধান করেন। পরবর্তীতে ছাত্রীরা নিরাপত্তার আশঙ্কা করলে পুলিশ প্রশাসন ছাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা দেয়ার আশ্বাস দেন।
মেসের ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বলেন, মেস মালিক ও তার স্ত্রী বিভিন্ন সময় মেসের ছাত্রীদের মানসিক নির্যাতন করে আসছেন। কিছুদিন পরপর মেসের সিট ভাড়া ভাড়া বাড়িয়ে দেন। কেউ মেস ছেড়ে দিতে চাইলে বলে ৬ মাসের টাকা দিয়ে যেতে হবে।
ভুক্তভোগী আরেক শিক্ষার্থী বলেন, মেস মালিক সময়ে অসময়ে মেয়েদের রুমে ঢুকে পড়েন। যার ফলে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মেসের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ভালো না, যেকোন সময়ে বাড়িওয়ালাসহ বাহিরের লোক মেসের ভেতর ঢুকে পড়েন। কোন সমস্যা নিয়ে অভিযোগ দিতে গেলে উল্টো আমাদের নোংরা ভাষায় কথা শোনান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. সাদিদ হোসাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটস্থ 'বিশ্বাস' মেসে ছাত্রীদের সাথে বাড়িওয়ালার বাকবিতণ্ডার খবর পেয়ে মেসে যান। এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।'
আরও পড়ুন....বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ