প্রাথমিকে শিক্ষকের শূন্যপদ ৩৮ হাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৩, ১৯:০৪ আপডেট : ০৬ জুন ২০২৩, ১৯:১৫
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানিয়েছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকপদে শূন্য পদের সংখ্যা বর্তমানে ৩৭ হাজার ৯২৬টি। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য ২৯ হাজার ৮৫৮টি এবং সহকারী শিক্ষকের ৮ হাজার ৬৮টি। দেশে বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৬ হাজার ৫৬৬টি।
মঙ্গলবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
সরকার দলীয় আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, শূন্যপদগুলো পূরণ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। সরাসরি নিয়োগযোগ্য প্রধান শিক্ষকের এক হাজার ৯৫৫টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, রংপুর,বরিশাল ও সিলেট বিভাগে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গত ২৩ মার্চ পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এসময় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের আরেক প্রশ্নে বলেন, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা ৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৭১টি। এর মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৩ লাখ ৯০ হাজার ৪৫টি।
হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে কোনো রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানমের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, প্রতিটি জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিটি বিভাগে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে দেশে ২টি নারী বিশ্ববিদ্যালয় আছে। যার মধ্যে একটি বেসরকারি ও অন্যটি আন্তর্জাতিক নারী বিশ্ববিদ্যালয়।
ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনজুর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য ২শত কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরেও একই পরিমাণ টাকা বরাদ্দ রাখা ছিল।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী বলেন, উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে শিক্ষা সনদ জালিয়াতি বন্ধে একটি অটোমেশন সফটওয়্যার প্রবর্তনের কাজ রয়েছে। সফটওয়্যারটি চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সকল তথ্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে এবং অনলাইনে পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে সনদ যাচাই করা যাবে। এতে সনদ জালিয়াতি বন্ধ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষা সনদ জালিয়াতির বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেলে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে জাল সনদধারী ৬৭৮ জন শিক্ষক/কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও আদর্শিক রাজনৈতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করিতে ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারে রোজনামচা’ ও আমার দেখা নয়াচীন বইগুলোর অংশ বিশেষ বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখার ক্লাসও বন্ধ
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি