ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

ধার করা লোকবল দিয়েই চলছে কুবির জনসংযোগ দপ্তর

  কুবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫:২৭

ধার করা লোকবল দিয়েই চলছে কুবির জনসংযোগ দপ্তর

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংযোগ দপ্তর নামে স্বতন্ত্র দপ্তর থাকলেও নেই কোন স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী। যার ফলে অন্য দপ্তরের ধার করা লোকবল দিয়েই চলছে জনসংযোগ দপ্তরের কাজ।

এ দপ্তরে ছয়টি পদ থাকলেও এসব পদের মধ্যে শুধু অফিস এসিস্ট্যান্ট পদে স্থায়ী ভাবে নিয়োগ আছে। বাকি পাঁচটি পদের মধ্যে- পাবলিক রিলেশন অফিসার ও ডাটা এসিস্ট্যান্ট পদে ভারপ্রাপ্ত এবং ইনফরমেশন অপারেটর, কম্পিউটার অপারেটর, ফটোগ্রাফারের পদটি শূন্য রয়েছে।

কুবির সমসাময়িক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে খবর নিয়ে দেখা যায় তাদের জনসংযোগ দপ্তর বা তথ্য শাখা সুসজ্জিত।

জনসংযোগ দপ্তরের গুরুপূর্ণ পদ জনসংযোগ কর্মকর্তা। প্রথম থেকে কোন জনসংযোগ কর্মকর্তা না থাকলেও ২০১০ সালে নিয়োগ দেয়া হয় দলিলুর রহমানকে। ২০১৩ সালে জনসংযোগ দপ্তর ছেড়ে রেজিস্ট্রার দপ্তরে ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে সার্কুলার হলে তিনি সেখানে আবেদন করেন এবং নিয়োগ পান। এরপর থেকে গত ৮ বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চালিয়ে নেয়া হচ্ছে জনসংযোগ দপ্তরের এ পদটি।

জনসংযোগ কর্মকর্তার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ কোনো ধরনের অভিজ্ঞতা ছাড়া ২০১৪ সাল থেকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন উপাচার্য দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার এমদাদুল হক। দুটি দপ্তর একসাথে চালাতে তাকে হিমসিম খেতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমি আর কতটুকু করবো। আমার একা ভিসি দপ্তর ও জনসংযোগ দপ্তর দুটো দেখা লাগে। তাই কোন রকম ভাবে কাজ চালাচ্ছি। রেজিস্ট্রার এবং উপাচার্যকে বিষয়টি অনেকবার জানিয়েছি কিন্তু উনারা নিয়োগ দিবেন বলে বলে আর কোন কিছুই করেন না।'

২০১৭ সাল এবং ২০১৯ সালে জনসংযোগ কর্মকর্তার জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও এ পদে এখনো কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি।

নিয়োগ না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনের ভিতরে এবং বাহির থেকে বিভিন্ন চাপের কারণ উল্লেখ করে বলেন, সার্কুলার দুইবার হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকবল নিয়োগ দেয়া নির্ভর করে উপাচার্যের ওপর। সাবেক উপাচার্যকে অনেকবার বললেও তিনি কেনো দেননি তিনি বলতে পারেন আমি অবগত নয়।

পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি আরও জানান, নতুন উপচার্য মহোদয়কে আমি লোকবল সংকটের বিষয়টি বলবো তিনি তার সুযোগ সুবিধা মতো নিয়োগ দেবেন।

জনসংযোগ দপ্তরের লোকবলসংকট নিরসনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সাথে কথা বললে নিয়োগের তিন মাসে তিনি এ বিষয়ে প্রথম শুনেছেন বলে উল্লেখ করে বলেন, জনসংযোগ দপ্তরে পর্যাপ্ত লোকবল নেই এটা আমি জানতাম না। তবে যেহেতু অবগত হয়েছি বিষয়টি নিয়ে নতুন উপাচার্যের সাথে কথা বলে নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।'

জনসংযোগ দপ্তরসহ অন্যান্য দপ্তরে জনবল নিয়োগের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে উল্লেখ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.এফ.এম আব্দুল মঈন বলেন, আমরা একটা ডাটাবেজ তৈরি করছি কোথায় কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই এবং রেজিস্ট্রারের সঙ্গে বসে আলাপ করে আমরা নিয়োগের সার্কুলার দিবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত