যোগ্যতায় চাকরি হলেও ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো চক্রটি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:২৭ আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৫১
সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করতো একটি চক্র। যেসব চাকরিতে পদ কম থাকে, সেইসব চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখায় চক্রটি। কারণ ওইসব চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বেকার যুবকদের চাকরির অফার দিলে অনেকেই রাজি হন। এরপর চক্রটি তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম নিতো। কাকতালীয়ভাবে বা নিজের যোগ্যতায় কখনো কারো চাকরি হয়ে গেলে তার কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত নেয় চক্রটি।
সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারী এমন একটি চক্রের মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)
সোমবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রো সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন।
তিনি বলেন, পল্টন থানায় মিরাজুল ইসলাম নামে (৩১) এক ভুক্তভোগীসহ চার ভুক্তভোগী এ সংক্রান্ত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার চক্রের মূলহোতা হারুন অর-রশিদকে (৩৬) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেকেন্দার আলী (৩৪) ও মাসুদ রানাকে (২৩) কাফরুল থানার মিরপুর-১৪ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ভুয়া নিয়োগপত্র ৪টি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আবেদনপত্র তিনটি, ভিকটিমদের স্বাক্ষরিত বিভিন্ন ব্যাংকের ব্লাঙ্ক চেক ৬টি, ভিকটিমদের স্বাক্ষরিত ব্লাঙ্ক স্ট্যাম্প ২৪টি, মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সরকারি চাকরির জন্য সুপারিশকৃত ভুয়া ডিও লেটার ও বিভিন্ন ব্যক্তিদের ছবি ও অন্যান্য কাগজপত্র সম্বলিত বায়োডাটা উদ্ধার করা হয়।
ইমাম হোসেন বলেন, সরকারি যেসব চাকরিতে পদ কম থাকে সেইসব চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখায় চক্রটি। কারণ ওইসব চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি আরও বলেন, বেকার যুবকদের চাকরির অফার দিলে অনেকেই রাজি হন। এরপর চক্রটি তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে নেয়। কাকতালীয়ভাবে কখনো কারও চাকরি হয়ে গেলে তার কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত নেয় চক্রটি।
সিআইডি জানায়, বিশ্বাস অর্জনের জন্য চক্রটি চাকরি পাবার পর বাকি টাকা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। আবার ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ব্লাঙ্ক চেক ও ব্লাঙ্ক স্ট্যাম্প নিয়ে বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করে যে, চাকরি আপনার হবেই। এভাবেই প্রতারক চক্রটি ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
শুধু তাই নয়, চক্রটি বদলি বাণিজ্যের সঙ্গেও জড়িত। বিভিন্ন মানবিক কারণ দেখিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে বদলিতে আগ্রহীদের জন্য তদবির করতো চক্রটি বলেও জানান সিআইডির এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ জার্নাল/ এফজেড/এমএস