ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

দেখা যাচ্ছে না বিদেশি চ্যানেল

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২১, ২২:০৬  
আপডেট :
 ০৩ অক্টোবর ২০২১, ০৫:৩১

দেখা যাচ্ছে না বিদেশি চ্যানেল
ছবি: সংগৃহীত

বিজ্ঞাপনসহ অনুষ্ঠান প্রচার করে এমন সব বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছেন দেশের ক্যাবল অপারেটররা। বিদেশি চ্যানেলগুলো তাদের মূল কনটেন্টের সাথে কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবে না- সরকারের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশনায় ১ অক্টোবর থেকে সম্প্রচার বন্ধ রেখেছেন তারা। এতে সব রকম বিদেশি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে।

বিদেশি চ্যানেলগুলো দেখতে গেলে টেলিভিশনের পর্দাজুড়ে একটি বার্তা ভেসে আসছে। এতে বলা হচ্ছে- গ্রাহকদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ১ অক্টোবর থেকে বিজ্ঞাপনসহ কোনো বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করা যাবে না। তাই পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হচ্ছি।

একই রকম বার্তা বিভিন্ন এলাকার কেবল অপারেটররা নিজেদের মতো করে দিচ্ছেন। ক্যাবল অপারেটররা বলছেন, বিদেশি চ্যানেলগুলো ক্লিন ফিড না দিলে বিজ্ঞাপন কেটে বাদ দিয়ে সম্প্রচার করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য সব বিদেশি চ্যানেল দেখানোই বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। সরকারের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত চ্যানেলগুলো বন্ধ থাকবে।

এ প্রসঙ্গে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ বলেন, অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপন প্রচার করে এমন বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার সরকারি নির্দেশনা মেনে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখন আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলের অনুষ্ঠান বাংলাদেশে দেখাতে হলে ক্লিন ফিড (কোনো বিজ্ঞাপন থাকতে পারবে না) দেখাতে হবে।

কোয়াব সভাপতি বলেন, ক্যাবল অপারেটিং শিল্পখাতে ৫ লক্ষাধিক লোক সম্পৃক্ত। এ শিল্প শেষ হয়ে যাচ্ছে। ওটিটিসহ অন্য প্লাটফর্মে কিন্তু সব চ্যানেল চলছে। এখন এটা যদি অন্য খাতে চলে যায় তাহলে পথে বসবে ক্যাবল অপারেটররা সরকার যদি বিবেচনা করে তাহলে আমরা ইন্ডাস্ট্রিটা টিকিয়ে রাখতে পারব।

তিনি আরও বলেন, সবার জন্য যেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে সে বিষয়টা চাই আমরা। অন্যরা বিদেশি চ্যানেল চালাবে, আর আমরা ক্যাবল অপারেটররা পারব না তা হলে বৈষম্য হবে।

তবে বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিন ফিড সম্প্রচার বাস্তবায়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (এটকো) এবং টিভি চ্যানেলগুলোতে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)।

এক বিবৃতিতে বিজেসি বলছে, ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনে বিধানটি থাকলেও কখনোই এটি কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগে দেশি টেলিভিশন চ্যানেল শিল্পের আর্থিক সংকট কমবে। উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সম্প্রচারকর্মীরাও এর সুফল পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে শনিবার তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের আইন মেনে বিদেশি যেকোনে চ্যানেল বিজ্ঞাপনবিহীন সম্প্রচার করতে পারবে। ভারত, পাকিস্তান কিংবা ইউরোপের অনেক দেশেই এ আইন রয়েছে।

তিনি বলেন, বছরের পর বছর আমাদের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিদেশি চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপনসহ সম্প্রচার করছিল। যার কারণে বাংলাদেশ হাজার হাজার কোটি বিনিয়োগ হারাচ্ছে। সেই সাথে সাংবাদিক, টিভি মালিকসহ সংশ্লিষ্টরাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে ক্যাবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাটকো, বিদেশী চ্যানেলের ডিস্ট্রিবিউটর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সঙ্গে এক বৈঠকে বিজ্ঞাপনসহ অনুষ্ঠান প্রচার করে এমন সব বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর/এএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত