ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ৪ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক সোহেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:৫১  
আপডেট :
 ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:১৬

ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক সোহেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক সোহেল

দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ দশ জনের বিরুদ্ধে গ্রাহকের ছিয়াত্তর লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্লাহ, নাজনিন নাহার বিথি, কাওসার, কামরুল হাসান, আব্দুল কাদের, নুরজাহান ইসলাম সোনিয়া ও রুবেল খান।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক বলেন, টিটু নামে এক ব্যক্তি গত মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুইয়ার আদালতে ইসতিয়াক হোসেন সোহেল রানাসহ দশ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলার আবেদন করেন। আদালত গুলশান থানাকে আবেদনটি এফএআর হিসেবে গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেন। আমরা আদালতের নির্দেশে আবেদনটি এফএআর হিসাবে গ্রহণ করি। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ই-অরেঞ্জ নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মচারী ও সহযোগী। তারা ই-অরেঞ্জের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য সরবরাহ ও বিক্রি করে থাকেন। মামলার বাদী ও সাক্ষীরা প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে পণ্য কেনার জন্য নগদ/বিকাশ/ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড/ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ও তারিখে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে ভাউচার গ্রহণ করে থাকেন। পরবর্তীতে ক্রেতাদের নিজ নিজ ই-অরেঞ্জ অ্যাকাউন্টে বাদীসহ আম-মোক্তার নামা ১০ জন ছিয়াত্তর লাখ একচল্লিশ হাজার একশত দুই টাকা টাকা প্রদান করেন। টাকা প্রদানের পর পণ্য না দিয়ে এই অর্থ আসামিরা আত্মসাত করেন।

মামলার বাদী ও সাক্ষীরা পণ্য কেনার পর তাদের পণ্য সরবরাহ এবং ডেলিভারি প্রদান করে নাই। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কিছুদিনের মধ্যে মালামাল সরবরাহ করবে বলে জানায়। পরবর্তীতে বাদী ও সাক্ষীরা জানতে পারেন যে, ই-অরেঞ্জ নামের প্রতিষ্ঠানটি তাদের মালিকানা পরিবর্তন করেছে।

বর্তমান মালিক মালামাল সরবরাহ করতে অনীহা প্রকাশ করাসহ পূর্বের মালিকদের নাম ও ঠিকানা সম্পর্কে কিছুই জানাচ্ছেন না। এতে বাদী ও সকল আম-মোক্তাররা আসামিদের প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।

বিভিন্ন সময়ে ই-অরেঞ্জ নামক প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে গত ২৮ এপ্রিল মামলার বাদী ও সাক্ষীরা পণ্য ক্রয় করে আসছেন। গত ১৮ আগস্ট থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন।

এদিকে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের দায়ে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- ভারতে আটক ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক সোহেল রানা

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত