ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

আলোচনায় আসতে নব্য জেএমবির নাশকতার ছক

  নিজস্ব প্রতবেদক

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২১, ২২:০৪  
আপডেট :
 ১২ জুলাই ২০২১, ২২:০৮

আলোচনায় আসতে নব্য জেএমবির নাশকতার ছক
ফাইল ছবি

শক্তিশালী আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরীর সরঞ্জামসহ নব্য জেএমবির দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তারা হলেন- আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ডেভিড কিলার এবং কাউসার হোসেন ওরফে মেজর ওসামা।

পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়ে আলোচনায় আসতে চায় নব্য জেএমবির সদস্যরা। সংগঠনের সামরিক শাখার দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এই তথ্য জানা গেছে।

সিটিসিসি প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড–সংলগ্ন পুলিশ বক্সের পাশে শক্তিশালী বোমা পাওয়া যায়। ওই ঘটনার তদন্তে গতকাল ১১ জুলাই রোববার বিকাল ৪ টায় যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ডেভিড কিলারকে একটি মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এই মোটরসাইকেলটি নারায়নগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে যে বোমা রাখা হয়েছিল তা পরিবহনে ব্যবহৃত হয়েছিলো।

গ্রেপ্তার কাউসার সম্পর্কে সিটিটিসি প্রধান বলেন, কাউসার হোসেন ওরফে মেজর ওসামা পল্লবী থানার একটি মামলার পলাতক আসামী। সে নব্য জেএমবি’র সামরিক শাখার প্রশিক্ষক ও বোমা তৈরীর মূল কারিগর। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বন্দর থানাধীন কাজীপাড়া এলাকায় একটি জঙ্গী আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে ১১ ইঞ্চি লম্বা বোমা তৈরীর জিআই পাইপ, ২ টি গ্রেনেড তৈরীর জিআই বক্স, ৪ টি রিমোট কন্ট্রোল ও ২ টি জিহাদী বইসহ কিছু বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, গ্রেপ্তার মামুনের তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার নোয়াগাঁও এলাকার জঙ্গী আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে ৩ টি শক্তিশালী আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে ৩০০ গ্রাম লাল রং এর বিষ্ফোরক জাতীয় পাউডার, ৭ টি বিউটেন গ্যাসের ক্যান, ১ সেট রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইস, ২ প্যাকেট ছোট সাইজের বিয়ারিং বল, ৫০০ টি ক্রিসমাস বাল্ব, ১ রোল ২ ইঞ্চি সাদা কার্টুন টেপ ও ১ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার মোটরসাইকেলটি নব্য জেএমবির সাংগঠনিক কাজে ব্যবহার করা হতো। পরবর্তী সময়ে সিটিটিসি’র বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট বোমা ৩ টি নিষ্ক্রিয় করে।

তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তার মো. কাউসার হোসেন ওরফে মেজর ওসামা নব্য জেএমবি’র সামরিক শাখার প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় সে উক্ত সংগঠনের সামরিক শাখার অন্যান্য সদস্যদের সাথে অনলাইনে ও অফলাইনে যোগাযোগ রক্ষা করে বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দিত। বাংলাদেশের নব্য জেএমবির আমীর মাহাদী হাসান ওরফে আবু আব্বাস আল বাঙ্গালীর সাথে সে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত।

জেএমবির কথিত আমির মাহাদী হাসান সম্পর্কে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, নব্য জেএমবির কথিত আমির মাহাদী হাসান ওরফে আবু আব্বাস আল বাঙ্গালী স্লিপার সেলের মাধ্যমে নাশকতার চেষ্টা চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়ে আলোচনায় আসতে চায় সংগঠনটি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফজেড/আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত