রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড
নিহতের পরিবার পাবে ২ লাখ টাকা, তদন্ত করবে তিন কমিটি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২১, ২১:৪১
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার এসব তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে দেয়ার হবে বলেও জানান তিনি।
একইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা ও গুরুতর আহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: হাড়-কঙ্কাল ছাড়া বাকি সব পুড়ে গেছে
এদিকে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগুন লাগার কারণ উদঘাটনের পাশাপাশি দোষীদের শনাক্ত করবে। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে আছেন রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ নুসরাত জাহান, জেলার ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন, পুলিশের একজন প্রতিনিধি এবং কলকারখানা অধিদপ্তরের জেলার একজন কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসনের এ তদন্ত কমিটি ছাড়াও ফায়ার সার্ভিস ও কলকারখানা অধিদপ্তরের আরও দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
আরও পড়ুন: কারখানার ভোজ্যতেলের কারণেই আগুনের ভয়াবহতা
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঘটনা তদন্তে সংস্থার পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব গণমাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের খবর
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। সেই রাতেই মারা যান ৩ জন। শুক্রবার দুপুরে কারখানার ভেতর থেকে ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৫২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে