ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : ৪৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

আজ ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১০ জুন ২০২১, ০৮:১২

আজ ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন
ছবি: সংগৃহীত

‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে, ধর্মীয় ভুল-ব্যাখ্যা দূর করে ইসলামের সঠিক বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় নির্মাণাধীন ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে ৫০টির উদ্বোধন আজ।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একযোগে সারা দেশে ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের ভেতর ও বাইরে ছোটবড় বিলবোর্ড টাঙানো হয়েছে।

বুধবার ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, তার জানা মতে, ইতিহাসে কোনো সরকারের আমলে একসঙ্গে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের রেকর্ড নেই। ৫৬০টির নির্মাণ কাজ শেষ হলে এটা হবে বিশ্ব রেকর্ড।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ৪৩ শতাংশ জায়গার ওপর তিন ক্যাটাগরিতে নির্মাণ করা হবে। জেলা ও সিটি কর্পোরেশন পর্যায়ে চারতলা, উপজেলা পর্যায়ে তিন তলা, উপকূলীয় এলাকায় চারতলা (যার মধ্যে নিচতলা ফাঁকা) মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।

দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ৫৬০টি দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে আট হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৩৬ বর্গমিটার আয়তনের নির্মিতব্য এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় কমপক্ষে ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কোটি টাকা।

এসব মসজিদে প্রতিদিন চার লাখ ৪০ হাজার ৪৪০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারীর নামাজ পড়ার সুবিধা থাকবে। পবিত্র কোরআন হাদিসের জ্ঞান অর্জনের জন্য এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ৩৪ হাজার মানুষ লাইব্রেরিতে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন।

প্রতিদিন ৬ হাজার ৮০০ জন গবেষকের গবেষণার সুযোগ, ৫৬ হাজার মুসল্লির দ্বীনি দাওয়াতের কার্যক্রম পরিচালনা, প্রতিবছর ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর কোরআন হেফজ করার সুবিধা, প্রতিবছর ১৬ হাজার ৮০০ শিশুর প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন এবং ২ হাজার ২৪০ জন অতিথির আবাসনের সুযোগ থাকবে।

এছাড়া মসজিদের খতিব ও ইমামদের মাধ্যমে প্রতিবছর সন্ত্রাস ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জনসচেতনামুলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

এসব মডেল মসজিদ এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ইসলামের প্রচার-প্রসারে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ এবং সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে বলেও জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত