ঢাকা, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

চার জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু ১০

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২১, ২০:৫২  
আপডেট :
 ০৪ জুন ২০২১, ২১:৫২

চার জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু ১০
ছবি প্রতীকী

দেশের চার জেলায় ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে অন্তত দশজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ ও মেলান্দহ উপজেলায় এক নারীসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে মারা গেছেন মা-ছেলেসহ তিনজন।বাগেরহাটের শরণখোলায় মারা গেছে এক যুবক। আর নেত্রকোনার পূর্বধলায় আশা মনি (৭) নামে এক শিশু মারা গেছে।

বজ্রপাতে মৃত্যুর সব ঘটনায় ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে।

বাংলাদেশ জার্নালের জামালপুর প্রতিনিধি জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলার বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ ও মেলান্দহ উপজেলায় বজ্রপাতে মারা গেছেন পাঁচজন। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বকশীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব কলকীহারা গ্রামের কৃষক হরবাদশা মিয়া (৫০), একই গ্রামের আবদুল খালেকের স্ত্রী আকিজা বেগম (৩০), ভাটি কলকীহারা গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে খলিলুর রহমান (৫৫), দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার গামারিয়া গ্রামের আবেল মিয়ার ছেলে আনা মিয়া (১৫) ও মেলান্দহ উপজেলার কাজিম উদ্দিনের ছেলে তাজেল মন্ডল (৪০)।

তারা সবাই বজ্রপাতের স্থানেই মারা যান।

স্থানীয়রা জানান, আজ (শুক্রবার) বিকেলে বকশীগঞ্জ উপজেলায় হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় নদীতে গোসল করা অবস্থায় হরবাদশা মিয়া, খেত থেকে ধান সংগ্রহ করার সময় আকিজা বেগম ও ধানখেতে কাজ করার সময় খলিলুর রহমানের মৃত্যু হয়।

রাজমিস্ত্রির কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন আনা মিয়া। এ সময় তিনি বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া এলাকার কৃষক তাজেল মন্ডল বাড়ির বাইরে কাজ করছিলেন। এ অবস্থায় বজ্রপাতে তিনি মারা যান।

বাংলাদেশ জার্নালের চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বিকেলে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ তিনজন মারা গেছেন। সদর উপজেলার সুন্দরপুর ও চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বজ্রপাতে মৃতরা হলো- সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের পাঁচরশিয়া গ্রামের রানার স্ত্রী এ্যানি খাতুন, তার ছেলে নূর মোহাম্মদ এবং চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের টিকলীচর গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে ইয়াসির আরাফাত।

জানা গেছে, বিকেলে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে মা ও ছেলে বাড়ির পাশের আমবাগানে যায়। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মা এ্যানি খাতুন মারা যায়। আহত অবস্থায় ছেলে নূরকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়। এছাড়া আম কুড়াতে গিয়ে চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে ইয়াসির আরাফাত নামে এক শিশু বজ্রপাতে মারা গেছে।

বাংলাদেশ জার্নালের বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, জেলার শরণখোলায় বজ্রপাতে আবু বক্কর খান (২৬) নামে এক যুবক মারা গেছেন। বিকেলে উপজেলার রাজাপুর গ্রামে বাড়ির পাশের মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে তিনি মারা যান।

নিহত আবু বক্কর শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের বাবুল খানের ছেলে।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ জার্নালের নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, পূর্বধলায় বজ্রপাতে আশা মনি (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে বৃষ্টিপাত শুরু হলে আশা মনি বাড়ির পাশের পুকুর পাড় থেকে গরু আনতে যায়। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত