সাবেক এমপি আউয়ালের নির্দেশে শাহীন খুন!
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২১, ০৯:৩৪
লক্ষ্মীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এম এ আউয়ালের নির্দেশেই পল্লবীর সিরামিক রোডে নিজ বাড়ির সামনে শাহীন উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সূত্র: ইত্তেফাক
পল্লবীতে এম এ আউয়ালের সঙ্গে শাহীন উদ্দিনের জমি দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জের আউয়াল ভাড়াটিয়া কিলার গ্রুপ দিয়ে শাহীন উদ্দিনকে খুনের পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত রোববার বিকেল ৩টার দিকে মুরাদ, মানিক ও মনির চাপাতি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে শাহীন উদ্দিনকে হত্যা করে। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার মুরাদ দুই দিনের রিমান্ডে এমন তথ্যই জানিয়েছে।
হত্যার ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। দুই যুবক চাপাতি দিয়ে শাহীন উদ্দিনকে উপর্যুপরি কোপানোর দৃশ্য ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়। তবে ওই ভিডিও ফুটেজে গ্রেপ্তারকৃত মুরাদকে দেখা যায়নি। তবে পুলিশ বলছে, মুরাদই প্রথম চাপাতি দিয়ে শাহীনকে কুপিয়েছে। মানিক ও মনিরকে পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
গত ১৬ মে পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর রোডে ৭ বছরের সন্তানের সামনে শাহীন উদ্দিনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরদিন পুলিশ মুরাদকে গ্রেপ্তার করে।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, এলাকায় জায়গা জমি দখল নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহতের বিরুদ্ধেও প্রতিপক্ষরা এর আগে মামলা দায়ের করেছিলেন। আবার এম এ আউয়ালের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে। তবে ঘটনার দিন যারা শাহীনকে হত্যা করেছিল, তারা ভাড়াটিয়া কিলার গ্রুপের সদস্য। এর আগেও পুলিশের হাতে মুরাদ গ্রেপ্তার হয়েছিল। মুরাদের অপর দুই সহযোগী মানিক ও মনিরও পুলিশের হাতে একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছিল।
হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পল্লবী থানার ওসি বলেন, ১৬ মে বিকেলে শাহীন উদ্দিন তার ছেলে মাশরাফিকে মোটরসাইকেলে করে ঘুরছিলেন। এমন সময় কেউ একজন শাহীনকে ফোন করে ৩১ নম্বর রোডে দেখা করার কথা বলে। সেখানে পৌঁছালে মাশরাফিকে মোটরসাইকেল থেকে তার বাবা নামিয়ে দেয়। এরপর এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন। এসময় ওই ব্যক্তি লাথি মেরে শাহীনকে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেয়। এরপর মুরাদ ওই ব্যক্তিকে চাপাতি দিয়ে কোপ দেয়। পরে মানিক ও মনির চাপাতি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃত মুরাদ পল্লবীর ডি ব্লকের ২৭/এ নম্বর রোডের ৬/৭ নম্বর বাড়িতে থাকে। তার বাবার নাম মফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই