ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘কাদের মির্জার নাম বাদ দিলে মামলা নেবে পুলিশ’

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২১, ০৩:৫৫

‘কাদের মির্জার নাম বাদ দিলে মামলা নেবে পুলিশ’

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মির্জা কাদের ও বাদল গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া আলাউদ্দিনের পরিবারের মামলা নিচ্ছে না বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে নিহতের স্বজনরা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চরকালী গ্রামে নিহতের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নিহতের পরিবার।

নিহতের মা মরিয়ম নেছা ও ছোটভাই এমদাদ হোসেন এ হত্যাকাণ্ডের জন্য কাদের মির্জাকে দায়ী করে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও হত্যা মামলা পুলিশ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার।

এমদাদ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় মামলা করার জন্য আমি থানায় যাই। পরে মামলার আর্জি ওসি সাহেবকে দিই। ওসি সাহেব প্রথম আসামি হিসেবে মির্জা কাদেরের নাম দেখার পর, নামটি কেটে দিলে মামলা নেবেন বলে জানান। কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করায় পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। তবে থানা মামলা না নিলে আদালতে মামলা দায়ের করবেন বলেও তিনি জানান।

এই অভিযোগপত্রে কাদের মির্জাকে ১ নম্বর এবং তার ভাই শাহাদত হোসেনকে ২ নম্বর ও ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিককে ৩ নম্বর অভিযুক্তসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনির মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ করেননি তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২ মাস ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে জেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিরোধের জের ধরে এক অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অস্থিতিশীলতার মধ্যে দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পৃথক এলাকায় দুইবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ১৯ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিকালে চাপরাশিরহাটে প্রথম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির গুলিবিদ্ধ হন এবং ২০ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) রাত ১০টা ৪৪ মিনিটে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পরে ৯ মার্চ মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় বসুরহাট রূপালী চত্বরে মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীরা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকেন। সমাবেশ চলাকালীন সময় মির্জার অনুসারীরা জেলা আওয়ামী লীগের বরাত দিয়ে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার পরও কেন সমাবেশ হচ্ছে এ কথা নিয়ে বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এরই জের ধরে রাত ১০টায় বাদলের অনুসারীরা বসুরহাট পৌর ভবনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালান। এ সময় ১৩ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হন। এদের মধ্যে সিএনজি চালক আলাউদ্দিনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকের হোসেন হৃদয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিরা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত