আদালতে ভাই-ভাবি-ভাতিজাকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২০, ২০:৩৮
কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদীতে স্বামী-স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে হত্যার করে মাটিচাপা দেয়ার মামলায় প্রধান আসামি দীন ইসলাম আদালতেও দায় স্বীকার করলেন।
শনিবার বিকেলের দিকে দণ্ডবিধি ১৬৪ ধারায় কিশোরগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুন নূরের খাস কামরায় তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
জবানবন্দিতে তিনি জানান, তিনি নিজেই শাবল দিয়ে আঘাত করে ভাই-ভাবি ও ভাতিজাকে হত্যা করেন। প্রথমে বড় ভাই আসাদ মিয়া এবং পরে ভাবি পারভীন আক্তার ও শিশু ভাতিজা লিয়নকে হত্যা করেন। তারপর তাদের প্রাণহীন দেহ টেনে নিয়ে বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ের নিচে গর্ত করে মাটিচাপা দেন।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ মাশরুকুর রহমান খালেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, এর আগে প্রধান আসামি দিন ইসলাম দণ্ডবিধি ১৬১ ধারায় কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশের কাছেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
প্রধান আসামি নিহত আসাদ মিয়ার ছোট ভাই দীন ইসলাম, ভগ্নিপতি আলামিন, বোন নাজমা ও কেওয়াকে শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদূন নূরের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জামষাইট কান্দাপাড়া এলাকার মৃত মীর হোসেনের ছেলে আসাদ মিয়া, তার স্ত্রী পারভীন আক্তার ও শিশুপুত্র লিয়ন বুধবার রাতে বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। পরদিন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ নিজ বাড়ি সংলগ্ন বাঁশঝাড়ে মাটি খুঁড়ে শিশুসন্তানসহ ওই দম্পত্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে কটিয়াদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় তিনি চাচা, দুই ফুফু, এক ফুফা ও ফোফাতে ভাইসহ ৯ জনকে আসামি করেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে