রংপুরে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার আরও ২
রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২০, ২৩:৩৭ আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২০, ২৩:৪২
রংপুরে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় বাবুল হোসেন (৩৮) ও আবুল কালাম আজাদ (৪০) নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে মূল অভিযুক্ত গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই (বরখাস্ত) রায়হানকে আটক করা হলেও তাকে এখনও গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। এ মামলার তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিআইবি) কাছে থাকলেও রায়হানকে পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ভোরে লালমনিরহাট থেকে উল্লিখিত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার বাবুল হোসেন লালমনিরহাট সদরের পূর্ব মাজাপাড়া এলাকার করি মাহমুদের ছেলে এবং আবুল কালাম আজাদ পূর্ব থানা পাড়ার মৃত কাচু মিয়ার ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পিবিআই।
পিবিআই কর্মকর্তা এবিএম জাকির হোসেন জানান, মঙ্গলবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
এর আগে সোমবার ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে সুমাইয়া আক্তার মেঘলা, সুরভি আক্তার শম্পা নামে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে রংপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে।
পিবিআই ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। পরিচয়ের সময় রায়হানুল তার ডাকনাম রাজু বলে জানান ওই ছাত্রীকে। গত শুক্রবার ওই ছাত্রীকে সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়ার বাড়িতে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন রায়হানুল। পরে রোববার ভাড়াটিয়া মেঘলা ও তার সহযোগী সুরভি আক্তারের সহায়তায় আরও দুজন তাকে ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ তাকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় মেঘলাকে আটক করে পুলিশ। ওই রাতে সুরভিকেও আটক করা হয়।
সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া বাবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর মুখোমুখি করা হয়। তখন ওই ছাত্রী তাদেরকে ধর্ষক হিসেবে শনাক্ত করে।
গণধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে এএসআই রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুসহ দুজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হারাগাছ থানায় মামলা করেন। সেই রাতেই অসুস্থ ওই ছাত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে পুলিশ। সোমবার মামলাটি হারাগাছ থানা থেকে রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়।
রংপুর পিবিআই’র সুপার এবিএম জাকির হোসেন জানান, অধিকতর তদন্তের স্বার্থে রায়হান এখনও পুলিশ হেফাজতে আছে। তাই তাকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
তিনি আরও জানান, গণধর্ষণের মামলায় এ পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দিলে তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন- পুলিশ সদস্যের নেতৃত্বে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ
বাংলাদেশ জার্নাল/আর