এবার রায়হানের নামে ছিনতাইয়ের অভিযোগ তোলা সাইদুর গ্রেপ্তার
সৈয়দ রাসেল, সিলেট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২০, ১৫:৫৪ আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২০, ১৭:০৩
সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের নিহত রায়হান হত্যার ঘটনায় শেখ সাইদুর নামে আরেকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। পরে তাকে ৫৪ ধারায় আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম।
পিবিআই এর একটি সূত্র জানায়, রায়হানকে আটকের আগে ছিনতাইয়ের অভিযোগকারী ছিলেন শেখ সাইদুর রহমান। অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে সিলেটের পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবক রায়হান নিহতের ঘটনায় কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে ফের তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই।
রোববার বেলা পৌনে ৩টার দিকে তাকে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে তোলা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রায়হান হত্যা: কনস্টেবল টিটু ফের রিমান্ডে
পিবিআই'র একটি সূত্র জানায়, রিমান্ডে থাকা গ্রেপ্তার কনস্টেবল হারুন রশিদের সাথে গ্রেপ্তার টিটু চন্দ্র দাসের বক্তব্যের অমিল থাকায় ফের টিটুকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর রায়হান হত্যাকাণ্ডে প্রথম গ্রেপ্তার কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই। এদিকে রায়হান হত্যায় অপর গ্রেপ্তার কনস্টেবল হারুন রশিদও পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কাফনের কাপড় বেঁধে অনশনে রায়হানের মা
শনিবার বিকাল পৌনে ৪টায় তাকে সিলেট মহানগর মহানগর-৩ এর হাকিম শারমিন খানম নিলার আদালতে হাজির করে তদন্তকারী কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সাময়িক বরখাস্তকৃত কনস্টেবল হারুন রশীদকে এসএমপি রিজার্ভ কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো করা হয় বলে জানিয়েছেন পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদুজ্জামান। এ মামলায় হারুনুর রশিদসহ এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করলো পিবিআই।
আরও পড়ুন: রায়হান হত্যা: কনস্টেবল হারুন ৫ দিনের রিমান্ডে
এর আগে পুলিশের তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন, এসআই হাসান উদ্দিন, কনস্টেবল তৌহিদ মিয়া, টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আর রায়হানকে ধরে ফাঁড়িতে আনার জন্য বন্দরবাজার ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয় এএসআই আশেক এলাহী, কুতুব আলী, কনস্টেবল সজীব হোসেনকে।
এ ঘটনায় নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি সিলেট কোতোয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার পর থেকে পালিয়ে যায় বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে