ফের তুলে নেয়া হল নুরকে, ছাড়া পেলেন মধ্যরাতে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০১:৪১ আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:৩৮
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে সোমবার রাত প্রায় পৌনে ১২ টার দিকে আবারও হেফাজতে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর রাত পৌনে ১টার সময় ডিবির কার্যালয় থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রাতে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানান, নুরকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নেয়া হয়েছে। তাকে অফিসিয়ালি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। যেহেতু সে অসুস্থ তাই চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়েছিল। অসুস্থতার কারণে তাকে পৌঁছে দেয়ার জন্যে ডিবির গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
ছাড়া পাওয়ার পর ডিবি কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, আমরা বুঝিনি কী কারণে আমাদের ধরে আনা হলো আর কী কারণে ছেড়ে দেয়া হলো। যেটা মনে হচ্ছে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখানোর জন্য এটা করা।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে মিছিল বের করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ভবন এলাকায় গেলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এসময় পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে নুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পরেই মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
রোববার রাতে ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী লালবাগ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার ১ নম্বর আসামি ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।
মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী ও এজহার থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি দুপুরে রাজধানীর নবাবগঞ্জ রোডের একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হাসান আল মামুন, যিনি কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন।
আসামিদের তালিকায় সহযোগী হিসেবে ডাকসু ভিপি ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরের সঙ্গে একই সংগঠনে যুক্ত নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকির নামও রয়েছে। এরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী থেকে জানা গেছে।
নুর ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হাসান আল মামুন, নাজমুল হাসান, মো. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকি। এদের মধ্যে হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি এবং ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-
ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার মামলা
আটকের পর মুচলেকায় ছাড়া পেলেন ভিপি নুর
বাংলাদেশ জার্নাল/আর