ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

হিন্দু মেয়ের সাথে প্রেম, শারীরিক সম্পর্ক, অতঃপর...

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:০৩

হিন্দু মেয়ের সাথে প্রেম, শারীরিক সম্পর্ক, অতঃপর...

ধর্মীয় পরিচয়, ঠিকানা ও বিয়ের কথা গোপন রেখে রিপন ইসলাম (২৬) নামক এক যুবক নিজের ছদ্মনাম রাখে বিপ্লব রায়। এরপর হিন্দু ধর্মের এক স্কুলছাত্রীর সাথে প্রেম, এরপর শারীরিক সম্পর্ক করে। ছেলেটি হিন্দু নয় জেনে গিয়ে এক পর্যায়ে মেয়েটি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

দিনাজপুর খানসামায় ঘটেছে এমন ঘটনা। এ ঘটনায় প্রেমিক রিপন ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার খানসামা থানার ওসি শেখ কামাল হোসেন আটকের সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, স্কুলছাত্রী লতা রায়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন রিপন ইসলাম। তাদের সম্পর্ক প্রেম থেকে শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়। সেই প্রেমের টানে দু'মাস পর লতা রায় গত ১৪ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টায় বিয়ের উদ্দেশ্যে প্রেমিকের টানে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সেই প্রেমিক দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভাবকি ইউনিয়নের আগ্রা গ্রামের শাহ্পাড়ার হায়দার আলীর ছেলে রিপন ইসলাম।

খানসামা থানার ওসি আরও বলেন, প্রেমিকের টানে বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রতারণার শিকার হন লতা রায়। প্রেমিকের আসল পরিচয় জানতে পেরে চক্ষুলজ্জার ভয়ে বাড়ির পাশে লিচু গাছের সাথে ফাঁস দিয়ে ১০ আগস্ট ভোররাতে আত্মহত্যা করেন সদ্য এসএসসি পাশ ছাত্রী লতা রায়।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের জোয়ার গ্রামে মৃত মেয়েটির বাড়ির পাশেই। এরপর থানা পুলিশ মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে এসব তথ্য উন্মোচন করেন।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লাশ উদ্ধারের পর থেকে জব্দকৃত আলামত স্কুল ব্যাগে পাওয়া মোবাইল ফোনের বার্তা আদান প্রদান ও কথোপকথনের সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালায় থানা পুলিশ। এরই প্রেক্ষিতে গত সোমবার ওসি শেখ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে এসআই তন্ময় বিশ্বাস ও এসআই সাইদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লতা রায়ের আত্মহত্যার প্ররোচনা দানকারী রিপন ইসলামকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে।

আটকের পর রিপন ইসলাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরিচয় গোপন রেখে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই সন্তানের জনক রিপন ইসলাম পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন সময় অনেক মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক করে থাকেন। এ ঘটনার পরেও তিনি একাধিক জনের সাথে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

এ বিষয়ে খানসামার ওসি শেখ কামাল হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধারের পর থেকেই মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে কাজ করে পুলিশ। রিপন ইসলামকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত